বাহুমূলের কালচে ছোপ নিয়ে আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
বাহুমূলে ওয়্যাক্স কিংবা শেভ করার পর ভিটামিন ই যুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার মাখেন। তা সত্ত্বেও কেমন কালচে ছোপ পড়ে গিয়েছে। ঠান্ডায় সোয়েটার, জ্যাকেট পরেন বলে খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু হাতকাটা পোশাক পরতে গেলেই বিপদে পড়েন। সকলের সামনে হাত তুলতে পারেন না। সালোঁয় গিয়ে দু-এক বার ব্লিচ করিয়েছিলেন। তৎক্ষণাৎ সমস্যার সমাধান হয়েছিল। তবে কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই কালচে ছোপ আবার যে কে সেই! রাসায়নিক দেওয়া ‘হোয়াইটনিং ক্রিম’ মেখেও খুব একটা লাভ হয়নি। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, ঘরোয়া টোটকায় এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। তার জন্য কী করতে হবে?
১) লেবুর রস:
লেবুকে 'প্রাকৃতিক ব্লিচ' বলা হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর লেবু নাছোড় দাগ দূর করতে দারুণ কাজ করে। শেভিংয়ের পর বগলের কালো দাগ দূর করতে প্রতি দিন স্নানের সময় পাতিলেবু ঘষুন। নিয়মিত এই পন্থা মেনে চললে দূর হবে বগলের কালো দাগছোপ। আরও ভাল ফল পেতে লেবুর সঙ্গে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাতিলেবু দু’টুকরো করে তাতে চিনি লাগিয়ে নিন। চিনি গলে না যাওয়া অবধি বাহুমূলে ঘষতে থাকুন। হবে মুশকিল আসান।
২) আলুর রস:
শরীরের যে কোনও দাগ সরাতে আলুর রস কিন্তু দারুণ উপকারী। দাগছোপ দূর করার পাশাপাশি, শরীরের যে কোনও অংশের চুলকানির সমস্যা দূর করতেও আলুর রস বেশ উপকারী। কয়েক ফালি আলু বেটে তার রস বার করে তাতে ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন বাহুমূলে। শেভিংয়ের পরে তো বটেই, নিয়ম করে সপ্তাহে তিন দিন এই রস লাগান বগলে। কালো দাগ গায়েব হবে সহজেই।
৩) অ্যালো ভেরা:
ওয়্যাক্স করার পর ত্বকের জ্বালা ভাব নিরাময়ে অনেকেই অ্যালো ভেরা জেল মাখেন। নিয়মিত এই জেল ব্যবহারে বাহুমূলের কালচে দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।
৪) হলুদ:
জলের সঙ্গে সামান্য গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে বগলে মেখে রাখুন। চাইলে জলের বদলে টক দইয়েও মিশিয়ে নিতে পারেন হলুদ গুঁড়ো। মিনিট ২০ রেখে ধুয়ে ফেলুন। শুধু বাহুমূলের নয়, কনুই, হাঁটুর মতো খসখসে অংশের কালচে দাগ দূর করতেও এই টোটকার জুড়ি মেলা ভার।
৫) নারকেল তেল:
স্নানের আগে বগলে নিয়মিত নারকেল তেল মেখে রাখুন। ধীরে ধীরে কালচে ছোপ দূর হবে। ভাল ফল পেতে নারকেল তেলের সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়ে হালকা হাতে ঘষতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy