রণজয় বিষ্ণু। ছবি: সংগৃহীত।
এ বছরের পুজো নিয়ে উত্তেজনায় খানিক ভাটা পড়েছে অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তার অন্যতম কারণ। তাই আলাদা করে পুজোর পরিকল্পা করার বিশেষ উৎসাহ নেই। তবু দুর্গাপুজো বাঙালির আবেগ। সেই আবেগের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতেই হয়। তাই আপাতত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার কথা ভেবেছেন। সারা বছর পর্দায় চরিত্র অনুযায়ী সাজতে হয়। তাই পুজোর চারটি দিন সাজগোজের ক্ষেত্রে সাবেকিয়ানা থেকে বেরোতে চান না রণজয়। পুজোয় কুর্তা, পাঞ্জাবি, ধুতি পরতেই পছন্দ করেন তিনি। রণজয় বলেন, ‘‘আমি বাঙালি পোশাক পরতে প্রচণ্ড ভালবাসি। অন্য সময় এই ধরনের পোশাক পরার বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায় না। তাই পুজোয় আমাকে আর জিন্স, টি-শার্টে দেখতে পাওয়া যায় না।’’ এ বছরও সেই চিরাচরিত সাজের বাইরে যাবেন না বলে মনস্থির করে নিয়েছেন অভিনেতা। তবে নিজের সাজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করলেও, পুজোর পাঁচ দিনের লুকে কী ভাবে বৈচিত্র আনা যায়, তা ভেবে রেখেছেন রণজয়। আনন্দবাজার অনলাইন সঙ্গে সেই ভাবনা ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।
ষষ্ঠীর সাজ
রণজয়ের মতে পুজো শুরু হোক সাবেকি পোশাক দিয়ে। হালকা রঙের কুর্তা। সঙ্গে পায়জামা। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় অনেকের বাড়িতেই বন্ধুদের আড্ডার আসর বসে। সেই আসরে এমন ছিমছাম সাজ মানানসই। তবে নিজে আয়োজক হলে সুতির পোশাক পরলে ভাল। তাতে স্বস্তি বজায় থাকবে।
সপ্তমী
সপ্তমীর সন্ধে থেকে পুজোর রং একটু একটু করে গাঢ় হতে থাকে। তাই সপ্তমীর সাজের জন্য রণজয়ের পছন্দ একটু গাঢ় রঙের কোনও পোশাক। সেই মতো পুজোর দ্বিতীয় দিনে পিচ রঙের পাঞ্জাবি কিংবা কুর্তা পরা যেতে পারে। সঙ্গে পায়জামা কিংবা জিনস থাকলে একটা মনের মতো লুক পাওয়া যাবে বলে জানালেন অভিনেতা। তবে অনেকেই পাঞ্জাবির বিকল্প খোঁজেন। সে ক্ষেত্রে লিনেন শার্টের সঙ্গে ঘিয়ে রঙের সুতির ট্রাউজার্স বেশ মানাবে। গলায় যদি স্কার্ফের মতো করে একটা ওড়না নেওয়া যায়, ভিড়ের মাঝে আপনিই হিরো। সপ্তমীর জন্য এমনই এক্সক্লুসিভ লুকের খোঁজ দিলেন রণজয়।
অষ্টমী
অঞ্জলি হোক কিংবা রাতের অনুষ্ঠান, অষ্টমীর সাজে ধুতি-পাঞ্জাবি ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারেন না রণজয়। ধুতির সঙ্গে কালো, লাল কিংবা অলিভ সবুজ রঙের পাঞ্জাবি দেখতে ভাললাগবে। অষ্টমীর সাজে সাদা-লাল থেকে বেরিয়ে যদি কেউ অন্য ভাবে সাজতে চান, তাঁরা রণজয়ের ভাবনা মাথায় রাখতে পারেন।
নবমী
নবমী নিশি মানেই পুজোয় বিষাদের সুর। তবু পুজো শেষ হওয়ার আগে একটু জমকালো সাজ হলে মন্দ হবে না। রণজয়ের মতে, এ দিন পশ্চিমি পোশাক পরা যেতে পারে। তবে পশ্চিমি পোশাক মানেই যে একেবারে আধুনিক কিছু, সেটাও নয়। রণজয় জানান, কুর্তার সঙ্গে জিনস পরা যেতে পারে।
দশমী
ধুনুচি নাচের পরিকল্পনা থাকলে পাঞ্জাবির সঙ্গে ধুতির বদলে পায়জামা পরেন রণজয়। আর যদি ধুনুচি নাচের কোনও পরিকল্পনা না থাকে, সেক্ষেত্রে রণজয় পাঞ্জাবি আর ধুতিতেই সেজে ওঠেন দশমীতে। তাই রণজয়ের মতে, দশমীর সাজ পাঞ্জাবি-ধুতি ছাড়া অসম্পূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy