কোঁকড়া চুলের যত্ন। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু পুজো আসছে বলে নয়, কোঁকড়ানো চুল নিয়ে সারা বছরই চিন্তায় থাকতে হয়। সকালে কাজে বেরোনোর আগে শ্যাম্পু করেন রোজই। ভিজে চুল নিয়ে রাস্তায় বেরোতে না বেরোতেই কাকের বাসা। হাওয়া লেগে চুল উড়ে এমন অবস্থা যে, তা হাতের নাগালের বাইরে। পুজোর সময়ে শাড়ি পরে, ভিজে চুলে অঞ্জলি দেওয়ার সাধ বোধ হয় কোনও দিন পূর্ণ হবে না। কোঁকড়ানো চুল দেখতে যতটা সুন্দর, সামলানো ঠিক ততটাই মুশকিল! এই চুল খুব সহজেই উসকো-খুসকো হয়ে যায়। জট পড়ার প্রবণতাও এ ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও স্নানের সময়ে খানিকটা সময় বার করলেই কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। কী ভাবে?
১) কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে ‘প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট’ অত্যন্ত জরুরি বিষয়। চুলের গোড়া থেকে যে প্রাকৃতিক সিরাম নিঃসৃত হয়, তা কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে ডগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব আসে। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে মাস্ক কিংবা কন্ডিশনিং অয়েল লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ কিংবা তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।
২) চুল ধোওয়ার সময়ে ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। চুলের গোড়া থেকে এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল বেরোয়, যা চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল ধোয়ার সময়ে ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করলে প্রাকৃতিক তেল বিনষ্ট হয়ে চুল রুক্ষ করে দেয়।
৩) কোঁকড়ানো চুল ব্রাশ করবেন না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। চুল ধোয়ার পরে সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তার পর আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে চুলের জট ছাড়াতে কোনও অসুবিধা হবে না। ভেজা চুল কখনওই চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। স্নানের পর চুল মোছার জন্য গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। এর বদলে বেছে নিন মাইক্রো ফাইবারের নরম তোয়ালে। এ ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন সুতির গেঞ্জি কাপড়ের টি-শার্ট বা টপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy