অনেকেই ঝলমলে ত্বক পেতে নামী-দামি কিছু প্রসাধনীর ব্যবহার করে থাকেন। তাতে সাময়িক লাভ পাওয়া গেলেও, দীর্ঘস্থায়ী কিছু হয় না। কিছু ক্ষেত্রে হিতে বীপরিতও হয়। এতে ঝামেলায় না গিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি পানীয়ের উপর। ত্বক তো ভাল থাকবেই, সেই সঙ্গে শরীরও পাবে বাড়তি কিছু পুষ্টিগুণ।

শসা দিয়ে তৈরি পানীয়

শরীর আর্দ্র রাখতে শসার ভূমিকা অনবদ্য। শসাতে জলের পরিমাণ প্রচুর। ফলে শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখতে শসার আলাদাই উপকারিতা রয়েছে। শুধু তো শরীর নয়, ত্বকের দেখাশোনা করে শসা। ব্রণ, র‌্যাশ, ত্বকের রক্ষতা দূর করতে খেতে পারেন শসা দিয়ে তৈরি পানীয়। বাড়তি উপকার পেতে এই পানীয়ে মিশিয়ে নিতে পারেন পুদিনা পাতা। ঠান্ডা থাকবে শরীর।

আপেলের রস

ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়ামের মতো স্বাস্থ্যকর কিছু উপাদান রয়েছে এই ফলে। শীতে ত্বকের লাবণ্য অনেকটাই হারিয়ে যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে আপেল দারুণ কার্যকরী। আপেল ত্বকে আনে একটা বাড়তি জেল্লা। যা সকলের মাঝে আলাদা করবে আপনাকে। এ ছাড়াও আপেলে ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা ত্বকে আলাদা করে পুষ্টি জোগায়।

বিট এবং গাজরের রস

শীতকাল আসছে। এই মরসুমে বাজায় ছেঁয়ে থাকে বিট, গাজরের মতো রঙিন সব্জি। এই দুই সব্জিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীরের নানা সমস্যা দূর করা ছাড়াও, ত্বকের জেল্লা ফেরায়। বলিরেখা, মেচেতা, অকাল বার্ধক্যের মতো সমস্যা এড়াতে এই দুই সব্জি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। বিট এবং গাজরে থাকা ফাইবার পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে