হলাসন। ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের মসৃণতা ও জেল্লা হারাতে থাকে বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকে। তার পর থেকে ধীরে ধীরে ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করে। বলিরেখা দেখা দিতে থাকে। ত্বক খসখসে হয়ে পড়ে। শরীর সুস্থ রাখার জন্যেই নিত্য ব্যস্ততার মধ্যে শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বার করা হয়ে ওঠে না। ত্বকের যত্ন নিতে আলাদা করে শরীরচর্চা করার কথা অনেকে ভাবতেই পারেন না। তাই ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। খাদ্যাভ্যাসে বদল আনেন। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে সহজে কাজে আসতে পারে তিনটি যোগাসন।
হলাসন
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার কোমরে ভর দিয়ে পা দুটি ধীরে ধীরে উপরে তুলুন। পা যেন ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দুটিকে মাথার উপর দিয়ে পিছনের দিকে নিয়ে যান। এ বার পিঠটা ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভঙ্গিতে তুলুন যাতে পায়ের আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করে। এ বার বুকের কাছে থুতনি নিয়ে আসুন। হাতের তালু পিঠ এ ভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই আসনটি প্রায় কিছু ক্ষণ ধরে রাখুন। তার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
সর্বাঙ্গাসন
হলাসনের মতোই এই আসনটি করার জন্যে প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর পিঠের উপর ভর দিয়ে দু’হাতের তালুর সাহায্যে কোমর ও পা দুটি উপরে তুলে ধরুন। এ বার কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন তালুর উপর। কাঁধ, কোমর ও পায়ের পাতা যেন এক সরলরেখায় থাকে। বুকের সঙ্গে থুতনি স্পর্শ করে দৃষ্টি স্থির সরাসরি পায়ের পাতার দিকে স্থির রাখুন। কিছু সময় এই অবস্থায় থাকুন। মিনিট দুয়েক পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
বকাসন
এই আসনটি করার জন্য প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসুন। মাথা নামিয়ে এনে মাটিতে ঠেকান। এ বার হাতের তালু থেকে কনুই পর্যন্ত অংশে ভর দিয়ে পা দুটি একসঙ্গে রেখে হাঁটু মোড়া অবস্থাতেই মাটি থেকে তুলুন। দেহের সম্পূর্ণ ভর থাকবে হাতের কব্জির উপর। এই অবস্থায় কিছু ক্ষণ থাকার পর আস্তে আস্তে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy