করিনা ও ক্যাটরিনার মতো নরম ও জেল্লাদার হবে চুল, সহজ টোটকা জেনে নিন। ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বর-জানুয়ারি জুড়েই বিয়ের মরসুম। শীতকালে বিয়ে মানেই চুলের বিশেষ যত্ন নিতেই হবে। কারণ, এই সময়টাতেই চুল সবচেয়ে বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। ডগা ফাটার সমস্যাও দেখা দেয়। বিয়ের দিন যদি নানা রকম ভাবে কেশসজ্জা করতে চান, তা হলে যত্ন নিতে হবে অনেক আগে থেকেই। বিয়ের আগে চুলের পরিচর্যা কী ভাবে করবেন সে নিয়ে যদি চিন্তা থাকে, তা হলে দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কইফের কেশসজ্জাশিল্পী ইয়ান্নি সাপাতোরির কৌশল প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
ইয়ান্নি জানাচ্ছেন, দীপিকা, ক্যাটরিনার চুল এত নরম ও জেল্লাদার হওয়ার কারণই হল তাঁরা বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলেন। খুবই সাধারণ কিছু নিয়ম মানতে পারলে বিয়ের আগেই চুল জেল্লাদার হয়ে উঠবে। কী কী সেই নিয়ম?
ডিপ কন্ডিশনিং
জেল্লাদার চুল পেতে হলে ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ খুবই জরুরি। মনে হতেই পারে কেবল সাঁলোয় গেলেই হয়তো কন্ডিশনিং সম্ভব। তা একেবারেই নয়। রান্নাঘরের কিছু সাধারণ উপকরণ, যেমন কলা, অলিভ তেল মিশিয়ে কন্ডিশনিং মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এটি প্রাণহীন চুলে আর্দ্রতা জোগাবে। পাশাপাশি, ভাল ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে নিয়মিত চুল ধুয়ে নিন। স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু লাগাবেন, চুলে নয়। ঠান্ডা বা হালকা গরম জলে চুল ধোবেন। বেশি গরম জলে নয়।
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখার উপায়
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে হলে ভিতর থেকেও শরীরকে আর্দ্র রাখতে হবে। সে জন্য প্রতি দিন ২-৩ লিটার জল খেতেই হবে। শরীর আর্দ্র থাকলে চুলের পিএইচএর ভারসাম্যও বজায় থাকবে। তা ছাড়া এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যাতে হায়ালুরনিক অ্যাসিড ও গ্লিসারিন আছে। তা হলে শ্যাম্পু করার পরেও চুল নরম থাকবে।
তেলে চুল তাজা
চুল ও মাথার ত্বকের পুষ্টি জোগাবে তেল। চুল ঘন ও ঝলমলে রাখতে নিয়ম করে নারকেল তেল মালিশ করুন। তেল অল্প গরম করে চুলে ও মাথার ত্বকে মালিশ করতে পারলে চুল পড়ার সমস্যাও কমবে। তা ছাড়া এসেনশিয়াল অয়েলও চুলের জন্য ভাল। জ়েরেনিয়াম তেল চুলের জন্য ভাল। প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। আবার চুলের পিএইচের ভারসাম্যও বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
জরুরি টিপ্স
চুলে ঘন ঘন হাইলাইট করা বা ব্লো ড্রাই করা থেকে বিরত থাকুন। পনিটেল বা টপনট যা-ই বাঁধুন, খুব কষে বাঁধবেন না। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। চুল ঝরেও যায় সহজে। কেশসজ্জার সময়ে এমন জিনিস ব্যবহার করবেন না, যা চুলের ক্ষতি করে। ভারী ক্লিপ বা কাঁটা, অথবা নানা রকম গয়না ব্যবহার করার আগে দেখে নিন এতে চুল নষ্ট হচ্ছে কি না। হেয়ার জেল, ওয়াক্স, স্প্রে বা মুজ়ের মতো প্রসাধনীও বেশি ব্যবহার করবেন না। কারণ এগুলিতে খুব বেশি পরিমাণে রাসায়নিক থাকে, যা চুলের ক্ষতি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy