Advertisement
E-Paper

শৌখিনীদের স্বপ্নপূরণ করে ২৫ পার সব্যসাচীর, বিবাহ-বাণিজ্যের ও পারে কী?

জন্ম কলকাতাতেই। বড় হয়েছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে। পড়াশোনা হুগলির মফস্‌সলের এক স্কুলে। এখন অবশ্য দেশের প্রথম সারির পোশাকশিল্পী। কিন্তু এই ব্রাহ্মণপুত্রের জামা বানানো নিয়ে কিসের এত উত্তেজনা?

সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।

সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। সব্যসাচীর চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ। নেপথ্যের ভিডিয়ো: সব্যসাচীর ওয়েবসাইট থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১৮
Share
Save

এক পোশাকশিল্পী তাঁর কর্মজীবনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান করলেন। সেই ফ্যাশন শোয়ে হাঁটবেন বলে দীপিকা পাড়ুকোন তাঁর মাতৃত্বকালীন ছুটির পর প্রথম র‌্যাম্পে এলেন। আমেরিকার সুপারমডেল ক্রিস্টি টার্লিংটনকে উড়িয়ে আনা হল মুম্বইয়ে। যাঁরা অতিথি হলেন, যাঁরা সেই অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে বসে দেখলেন, তাঁদের নিয়ে আলোচনাও হল। কে, কী পরলেন, কী বললেন, কাদের ডেকেছিলেন ওই পোশাকশিল্পী— সব কিছুই খবরে! কেন? যাঁর অনুষ্ঠান নিয়ে এত কথা, তিনি এমন কে? তিনি একজন বাঙালি। নাম সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।

জন্ম কলকাতাতেই। বড় হয়েছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে। পড়াশোনা হুগলির মফস্‌সলের এক স্কুলে। এখন অবশ্য দেশের প্রথম সারির পোশাকশিল্পী। যে সব পোশাক পরে তারকারা নজর কাড়েন, কিংবা যে গয়না পরলে, ব্যাগ হাতে নিলে অথবা জুতো পরলে তাঁদের সাজ নিয়ে আলোচনা হয়, সে সবের অধিকাংশই সব্যসাচীর তৈরি। কিন্তু তারকাদের জন্য পোশাক বানানোর কাজ তো তিনি একা করেন না! দেশের আরও পোশাকশিল্পী করেন। তাঁদের ক’জনকে নিয়ে এত আলোচনা হয়! কিংবা রোজ যে জামা-জুতো পরা হয়, তা কে বানিয়েছেন, কে তার নকশা এঁকেছিলেন, কে দক্ষ হাতে পোশাকে সূচিশিল্পের কাজ করেছিলেন, সে সকল শিল্পীকে কি সবাই চিনি? তা হলে এই ব্রাহ্মণপুত্রের জামা বানানো নিয়ে কিসের এত উত্তেজনা? কারণ অবশ্য আছে। তার একটি অবশ্যই বলিউড।

বিয়ের রিসেপশনে সব্যসাচীর নকশা করা লাল রঙের বেনারসি পরেছিলেন অনুষ্কা শর্মা। দীপিকা পাড়ুকোন  বিয়ের দিন পরেছিলেন সব্যসাচীর তৈরি লাল রঙের লেহঙ্গা।

বিয়ের রিসেপশনে সব্যসাচীর নকশা করা লাল রঙের বেনারসি পরেছিলেন অনুষ্কা শর্মা। দীপিকা পাড়ুকোন বিয়ের দিন পরেছিলেন সব্যসাচীর তৈরি লাল রঙের লেহঙ্গা। ছবি: সংগৃহীত।

প্রায় গোটা বিশ্ব এখনও রুপোলি পর্দার নেশায় মগ্ন। অন্য নানা বিষয় এবং সাজগোজের ব্যাপারেও অধিকাংশ মানুষই বিনোদন জগতের তারকাদের আদর্শ মেনে চলেন। ভারতে এবং তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সেই জায়গায় রয়েছে বলিউড। আর আপাতত সেই বলিউডের সেরা সুন্দরীরা সব্যসাচীর পোশাক ছাড়া বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ভাবতেই পারেন না। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে অনুষ্কা শর্মা, ক্যাটরিনা কইফ, আলিয়া ভট্ট, হালের অদিতি রাও হায়দরি, ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু— কে পরেননি সব্যসাচীর পোশাক! শুধু মহিলারা নন, সব্যসাচীর নকশা করা পোশাক পরে বিয়ে করেছেন রণবীর কপূর, রণবীর সিংহ, ভিকি কৌশল, সিদ্ধার্থ মলহোত্রের মতো নায়কেরা, রাজনৈতিক নেতা রাঘব চড্ডা, আমেরিকার পপ তারকা নিক জোনাসও। সমকালীন বহু পোশাকশিল্পী রয়েছেন দেশে। তাঁদের পোশাক ওই সব তারকা সারা বছর পরেন না, তা নয়। অথচ নিজের জীবনের সেরা সাজের দিনটিতে ওই তারকারাই বাকিদের ছেড়ে সব্যসাচীকে বেছে নেন কেন? তার কারণ, সব্যসাচী বিয়ের সাজ নিয়ে তাঁদেরও স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন, যা অন্যেরা করেননি।

সব্যসাচীর ২৫ বছরের পূর্তি অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্টরা। বাঁ দিক থেকে মহারানি রাধিকা রাজে গায়কোয়ার্ড, পোশাকশিল্পী অনিতা শ্রফ আডজানিয়া, কোকিলাবেন অম্বানী এবং সস্ত্রীক আনন্দ মহিন্দ্রা।

সব্যসাচীর ২৫ বছরের পূর্তি অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্টরা। বাঁ দিক থেকে মহারানি রাধিকা রাজে গায়কোয়ার্ড, পোশাকশিল্পী অনিতা শ্রফ আডজানিয়া, কোকিলাবেন অম্বানী এবং সস্ত্রীক আনন্দ মহিন্দ্রা। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের জাঁকজমক এ দেশে ছিলই। কিন্তু বিয়ের দিনটিতেও যে একটি ডিজ়াইনার পোশাক পরে সাবেকিয়ানা রক্ষা করা যায়, সেই খোঁজ ছিল না আগে কারও কাছে। সব্যসাচী সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছেন মূলত বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত যাঁরা, তাঁদের ক্ষেত্রে। যাঁরা প্রাচুর্য দিয়ে নিজেদের আলাদা করে রাখেন বাকি সব দিনে, তাঁদের আরও আলদা হতে শিখিয়েছেন বাহুল্যে ভর করে। আর সে ভাবেই তৈরি হয়েছে তাঁর জায়গাটিও।

ভারতে বিয়ে মানেই এলাহি আয়োজন। বিয়েকে কেন্দ্র করে এ দেশে যে অঙ্কের বাণিজ্য চলে, তা যদি কোনও এক জনের হাতে কেন্দ্রীভূত হত, তবে তিনি নিশ্চিন্তে মুকেশ অম্বানীকেও টক্কর দিতে পারতেন। কারণ, ভারতে বিয়ে-ব্যবসার মোট অঙ্কটা ১৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি টাকা। অম্বানীদের ১০ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার (৯০ হাজার কোটি টাকা)-এর থেকে যা ঢের বেশি। এ দেশে বিয়ের আয়োজনে খানিক বাড়তি বিলাসিতা থাকে, থাকে খানিক রাজকীয়তার ঝলক। সেই বাড়তি জমকের জন্য সামর্থ্যের শেষ বিন্দুতে গিয়ে অর্থ ব্যয় করতেও পিছপা হন না ভারতীয়রা। সামর্থ্যের চেয়ে বাড়তি খরচ করে বিবাহ উদ্‌যাপন করার দিনটিতে তারকা হয়ে উঠতে চান অনেকেই। সেই তারকা হওয়ার স্বপ্নটাই উস্কে দিয়েছে সব্যসাচীর সৃষ্টি। আর তাঁর কাজের পরিসরও তাই বাড়তে বাড়তে গিয়েছে। প্রচার হয়েছে। বাহুল্যপ্রেমী দেশে সব্যসাচীর সাজে বাহুল্যের ব্যবহার দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে।

সব্যসাচী ভারতীয় শিল্পের প্রাচুর্যকে নিজের মতো করে রূপ দিয়েছেন। ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোন এবং ক্রিস্টি টার্লিংটনের সঙ্গে ২৫ বছর পূর্তির ফ্যাশন শােয়ে বাঙালি পোশাকশিল্পী।

সব্যসাচী ভারতীয় শিল্পের প্রাচুর্যকে নিজের মতো করে রূপ দিয়েছেন। ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোন এবং ক্রিস্টি টার্লিংটনের সঙ্গে ২৫ বছর পূর্তির ফ্যাশন শােয়ে বাঙালি পোশাকশিল্পী। ছবি: ফ্রিক আর্টিস্টের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে।

দেশে বেনারসি পরার চল ছিল না, তা নয়। পুঁতি, জরি, ভারী জারদৌসি কাজের লেহঙ্গাও ছিল। সূচিশিল্প, বুনন ভারতকে দেখেই শিখেছে বহু দেশ। সূচিশিল্পের কাজের জন্য ভারতীয় শিল্পীদের দ্বারস্থও হয়েছে প্রথম বিশ্বের ফ্যাশনপ্রেমী দেশের নামীদামি পোশাকশিল্পীরা। সব্যসাচী ভারতীয় শিল্পের সেই প্রাচুর্যকেই নিয়ে নিজের মতো করে রূপ দিয়েছেন। ভারতীয় শিল্পকলার খাঁটিত্বকে নিজের ক্ষমতা বানিয়েছেন। আর সেই জোরের জায়গা থেকেই বিয়ের পোশাকের অধরা বাজারের দখল নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। তাঁর সংস্থার বার্ষিক আয় ছুঁয়ে ফেলেছে ৫০০ কোটির মাত্রা। যে সাফল্যে ভরসা করে মাত্র ২৫ বছরে সব্যসাচীর সংস্থা হয়ে উঠেছে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বিলাসী ব্র্যান্ড। অন্তত নিজের কর্মজীবনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে সে কথাই দাবি করেছেন এই বাঙালি পোশাকশিল্পী।

ভারতের বিয়ের বাজারে জমকালো পোশাকের চাহিদা কতটা, তার প্রমাণ কলকাতায় শুরু আরও একটি বিয়ের পোশাকের সংস্থা— মান্যবর। কলকাতার ব্যবসায়ী রবি মোদীও বিয়ের পোশাক বিক্রি করে গোটা ভারতের বিয়ের বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর সংস্থার বার্ষিক আয় প্রায় সব্যসাচীরই মতো— ৪৭৫ কোটি টাকা। তবে মান্যবর-এর লক্ষ্য দেশের উচ্চবিত্ত এবং প্রভাবশালী সমাজ নয়। প্রাচুর্যও নয়। বরং মধ্যবিত্ত। অন্য দিকে, সব্যসাচী শুধু দেশের ওই বিশেষ সমাজটির চাহিদা পূরণ করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের বাজারের দিকেও হাত বাড়িয়েছেন। নিজেকে ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক বিলাসী ব্র্যান্ড হিসাবে। এ-ও বলেছেন, আগামী ২৫ বছরে তাঁর সংস্থার বার্ষিক আয় ১০০ কোটি ডলারে, অর্থাৎ প্রায় ৮৬৭০ কোটি টাকায় পৌঁছে দিতে চান। সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, বাঙালি পোশাকশিল্পীর ব্যবসায়িক বুদ্ধি যেমন তুখোড়, আর যে ভাবে তিনি আন্তর্জাতিক বাজার দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাতে লক্ষ্যপূরণ খুব অসম্ভবও নয়।

মুম্বইয়ের বিপণিতে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।

মুম্বইয়ের বিপণিতে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ফ্যাশনে অবশ্য সব্যসাচী অনেক আগেই নিজের পরিচয় জানান দিয়েছেন বলে দাবি। হলিউডের তারকাদের সব্যসাচীর নকশা করা গয়না পরতে দেখা গিয়েছে। লন্ডনের সদবির নিলামঘরে প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর কাজ। কোনও ফ্যাশন উইকে না গিয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের ১২২ বছরের পুরনো কুলীন বিলাসদ্রব্যের বিপণিতে নিজের কাজ দেখান সব্যসাচী। তাঁর কাজে খাঁটি ভারতীয় শিল্পের ঝলক পাওয়া যায় এমন একটা বিশ্বাস তিনি তৈরি করতে পেরেছেন। আর তাতে তাঁর কাজ নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে আরও।

সেই তিনি নিজের কর্মজীবনের রজত জয়ন্তী পালন করলেন মুম্বইয়ে, যা দেখতে নজর ফেরাল ফ্যাশন দুনিয়া। আর সেখানে আরও বেশি করে সব্যসাচী দেখালেন তাঁর শিকড়ের টান। যে শিকড়কে বার বার, নানা ভাবে নিজের কাজের মধ্যে ব্যবহার করেছেন আগেই। মুম্বইয়ের জিয়ো কনভেনশন সেন্টারের মঞ্চে সব্যসাচী তৈরি করেছিলেন এক টুকরো পুরনো কলকাতা। সেই দালান দেওয়া বাড়ি, টানা বারান্দা, কার্নিশে মেলে রাখা ভিজে শাড়ি, সবুজ খড়খড়ি দেওয়া জানলা, দরদালানে সার দেওয়া থাম, বাঘ-সিংহের মূর্তি দেওয়া ফোয়ারা মাঝ উঠোনে। উত্তর কলকাতার বাঙালিবাড়ির ছবি। যে কলকাতা থেকে উত্থান সব্যসাচীর। অবশেষে বাঙালিয়ানার দালানকোঠাকে পিছনে ফেলে দু’টি থামের মাঝখান দিয়ে হেঁটে আসে দীপিকারূপী বলিউড।

মুম্বইয়ের জিয়ো কনভেনশন সেন্টারে এক টুকরো উত্তর কলকাতা। দালান দেওয়া বাড়ি, টানা বারান্দা, কার্নিশে মেলে রাখা ভিজে শাড়ি, সবুজ খড়খড়ি দেওয়া জানলা, বাঘ-সিংহের মূর্তি দেওয়া ফোয়ারা মাঝ উঠোনে।

মুম্বইয়ের জিয়ো কনভেনশন সেন্টারে এক টুকরো উত্তর কলকাতা। দালান দেওয়া বাড়ি, টানা বারান্দা, কার্নিশে মেলে রাখা ভিজে শাড়ি, সবুজ খড়খড়ি দেওয়া জানলা, বাঘ-সিংহের মূর্তি দেওয়া ফোয়ারা মাঝ উঠোনে। ছবি: রাধিকা রাজে গায়কোয়াডের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে।

চোখে মোটা গোল কালো ফ্রেমের চশমা, গায়ে সাদা ট্রেঞ্চ কোট আর গায়ে ঝলমলে রাশি রাশি গয়না। তার পর একে একে মডেল এবং একেবারে শেষে আমেরিকার সুপারমডেল ক্রিস্টি। আবহ তৈরি করে বাংলা গান। তাঁদের দেখে করতালিতে ভরিয়ে দিলেন গ্ল্যামার জগতের নামী তারকা এবং সমাজের বিশিষ্টেরা। কে না ছিলেন সেখানে! বলিউডের আলিয়া ভট্ট, সোনম কপুর, বিপাশা বসু, রানি মুখোপাধ্যায়, অনন্যা পাণ্ডেদের পাশাপাশি পোশাকশিল্পী, শিল্পপতি, সাংবাদিক, শিল্পী— সব ক্ষেত্রের প্রতিনিধি। এবং তাঁরা প্রত্যেকে এসেছিলেন সব্যসাচীরই পোশাক এবং শাড়ি পরে। অনুষ্ঠান শেষে ফিরে সমাজমাধ্যমে অনেকেই জানালেন, তাঁরা এসেছিলেন সব্যসাচীর অনুষ্ঠানে। লিখলেন, ওই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য তাঁরা কত কী করেছেন।

আলিয়া লিখলেন, সব্যসাচীর শিল্প তাঁকে কী ভাবে মুগ্ধ করে। একটি ব্র্যান্ডকে ঘিরে এমন উত্তেজনা নতুন নয়। এর আগে বিদেশি কিছু ফ্যাশন-সংস্থার জন্যও তারকাদের এমন উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। লুই ভিতোঁ, শ্যানেল, প্রদা, ডিয়র, ভার্সাস, ব্যালেনসিয়া, বুগেরির মতো আন্তর্জাতিক বিলাসী ব্র্যান্ডের মুখ কে হবেন, তা নিয়ে এখনও চলে প্রতিযোগিতা। এখন সব্যসাচীর ক্ষেত্রে খানিকটা একই বিষয় চোখে পড়ে। ফারাক এটুকুই যে— বিদেশি এবং আন্তর্জাতিক ওই বিলাসী ব্র্যান্ডগুলির বয়স ১০০ ছাড়িয়েছে। সব্যসাচীর সংস্থা সেই তুলনায় নবীন। সবে ২৫। এখন দেখার, এই উত্তেজনা ধরে রাখবেন তিনি কত বছর!

সব্যসাচীর অনুষ্ঠান থেকে ফিরে তাঁর প্রশংসা করে পোস্ট আলিয়া ভট্টের।

সব্যসাচীর অনুষ্ঠান থেকে ফিরে তাঁর প্রশংসা করে পোস্ট আলিয়া ভট্টের। ছবি: আলিয়া ভট্টের ইনস্টাগ্রাম থেকে।

তবে নিন্দকেরাও একটি কথা মানবেন, সম্ভবত সব্যসাচীই প্রথম বাঙালি শিল্পী, যিনি সুব্যবসায়ীও বটে! সমকালীন অথবা তাঁরও আগে থেকে যাঁরা পোশাকশিল্পী হিসাবে কাজ করছেন, যেমন মণীশ মলহোত্র, তরুণ তেহলানি, আবু জানি-সন্দীপ খোসলা বা ফাল্গুনী ও শেন পিকক, তাঁদের কারও বার্ষিক আয় সব্যসাচীর ধারেকাছেও নয়। কলকাতার আরও এক নামী পোশাকশিল্পী অনামিকা খন্না। বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাঁর নকশা করা পোশাক বেছে নেন কান চলচ্চিত্রোৎসবে যাওয়ার জন্যও। তবে বলিউডে জনপ্রিয় অনামিকার সংস্থার বার্ষিক আয় সব্যসাচীর অর্ধেকও নয়।

২৫ বছর আগে মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজিতে ভর করে পথচলা শুরু করে যে সংস্থার বার্ষিক আয় ৫০০ কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে, তার নেপথ্য কারিগরের ব্যবসায়িক বুদ্ধি নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়। তিনি স্বপ্ন দেখেন, আরও এগিয়ে যাবেন। হয়তো তা সম্ভব হবে, যদি বিয়ের বাজার এ দেশে আরও বাড়তে থাকে!

Sabyasachi Mukherjee sabyasachi mukhopadhyay

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।