আলিয়া ভট্ট (বাঁ দিকে)। সোনম কপূর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মরসুমভেদে বদল আসে পরনেও। গরমের ফ্যাশন মানেই পোশাক হতে হবে আরামদায়ক। এই মরসুমে বিয়েবাড়ি হোক কিংবা জন্মদিনের নিমন্ত্রণ, অফিস হোক কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া, সব ক্ষেত্রেই চিকনকারি পোশাক রাখতে পারেন আপনার পছন্দের তালিকায়।
লখনউ শহরটি কেবল কবাব-বিরিয়ানির জন্য জনপ্রিয় নয়। সেখানকার চিকনকারি নকশার খ্যাতি কিন্তু বিশ্ব জুড়ে। ছবির প্রচারে হোক কিংবা ইনস্টাগ্রামের ফোটোশুট, বলিউডের নায়িকারাও ইদানীং চিকনকারির কুর্তি, সালোয়ার স্যুট কিংবা আনারকলিতে ক্যামেরাবন্দি হচ্ছেন। ফ্যাশন জগতে গত দু’বছর ধরে চিকনের জামার কদর যে আরও বেড়েছে।
শোনা যায়, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের স্ত্রী নুরজাহান ভারতে এই চিকনকারি শিল্পকে জনপ্রিয় করেছিলেন। পারস্যের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা মুঘল দরবারে আসতেন। তাদের পরনে যে পোশাক থাকত, তাতে সাদা কাপড়ের উপর সাদা সুতোর সূক্ষ্ম কারুকাজ নজর কাড়ত সকলের। এ ভাবেই পারস্য থেকে এই শিল্পের চল শুরু হয় ভারতেও। এখন মূলত শিফন, মসলিন, সিল্ক, চান্দেরি, তসর, জর্জেট আর সুতির কাপড়ের উপর চিকনকারির কাজ করা থাকে। সুতোর সঙ্গে সিক্যুইন, পুঁতি আর আয়না দিয়েও চিকনের কাজ করা হয়।
একটা চিকনকারি কুর্তি কিনলে একাধিক ভাবে স্টাইল করতে পারেন। জিন্স, পালাজ়ো বা শারারার সঙ্গেও ভাল মানায় চিকনের কুর্তি।
এখন রঙিন কাপড়ের উপর চিকনকারি নকশা করা হলেও একটা সময়ে কেবল সাদা কিংবা হালকা রঙের কাপড়েই এই কারুকাজ করা হত। বিয়েবাড়ি হোক কিংবা অফিসের কোনও অনুষ্ঠান, অনুষ্কা শর্মার মতো আপনিও একটা সাদা চিকনকারির সালোয়ার স্যুট পরতেই পারেন। এ রকম স্যুটের সঙ্গে খুব বেশি চড়া সাজ নয়, কানে একটা চাঁদবালি ঝুমকো, পায়ে নাগরাই জুতির সঙ্গে একটা সাদা ক্লাচ— এতেই সকলের মাঝে নজর কাড়তে পারবেন আপনি।
কালো রং পছন্দ হলে আপনিও কৃতি শ্যাননের মতো কালো চিকনকারি কুর্তি-পালাজ়োর সেট রাখতে পারেন আলমারিতে। অফিস, কলেজ, কিংবা শপিং— এই ধরনের পোশাকে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা।
জিন্সের সঙ্গেও চিকনকারি কুর্তা বেশ ভাল মানায়। কিয়ারা আডবাণীর মতো হলুদ রঙের একটি চিকনের কুর্তা কিনে ফেললে অফিস, কলেজ, এমনকি জন্মদিনের পার্টিতেও পরে যেতে পারেন আপনি। সঙ্গে আফগানি কিংবা জার্মান সিলভারের গয়না। ব্যস তাতেই সম্পূর্ণ হবে আপনার সাজ।
শহরের বিভিন্ন বাজারে গেলেই চিকনকারি পোশাক কিনতে পারেন। দক্ষিণাপণের উত্তরপ্রদেশের দোকানে, উত্তরাপণে ঢুঁ দিলেই ৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে চিকনকারি কুর্তি মিলবে। পেয়ে যাবেন আনারকলি, সালোয়ার কামিজের কাপড়ের সম্ভার। তবে এই সব চিকনকারি কিন্তু মেশিনের হয়। হাতে করা চিকনকারি কম সংখ্যক দোকানেই মিলবে। নিউ মার্কেটের এ ব্লকে একটি চিকনকারি কাপড়ের দোকান আছে। সেখানে কম কাজের চিকনকারি কাপড়ে স্যুট পিস পাওয়া যাবে ১৮০০ থেকে ২০০০-এর মধ্যে। আর ভরাট জাল কাজ চাইলে ৫০০০ টাকার মধ্যে স্যুটের কাপড় পাবেন ওই দোকানে। অনলাইনে মিন্ত্রা, আজিওতেও চিকনকারি কাপড়ের সম্ভার পেতে পারেন। এ ছাড়া ইনস্টাগ্রামেও একাধিক পেজে চিকনের নকশা করা শাড়ি, ওড়না, কামিজ ও স্যুট পিস বিক্রি হয়। chakoriethnic, lucknow.chikan.couture, houseofchikankari.in নামের পেজগুলিতে গেলে আসল চিকনকারির নকশা করা পোশাক পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy