‘রান্নাঘরে’ পাইতে পার অমূল্য রতন। ছবি- সংগৃহীত
গ্যাস-অম্বল হোক বা ছোটখাটো কাটা-ছেঁড়া, বাঙালির রান্নাঘরে খুঁজলে তার প্রতিকার মেলে না, এমন জিনিস নেই। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে যে যে মশলা ব্যবহার করা হয়, তার বেশির ভাগই আমরা রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। রূপচর্চার ক্ষেত্রেও অনেকেই প্রাকৃতিক জিনিসের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু সে তো দীর্ঘমেয়াদি বিষয়, তা ছাড়া তৎক্ষণাৎ ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফিরে পেতে সাঁলোয় না গিয়েই বা উপায় কী? অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সত্যি যে, রান্নাঘরে থাকা অনেক জিনিস দিয়ে ত্বকচর্চা করা যায়।
রান্নাঘরের কোন কোন মশলা ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে কাজে লাগে?
১) হলুদ এবং জল
ত্বকের যত্নে দিদিমা, ঠাকুরমাদের সেই পুরনো টোটকা হলুদ। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং প্রদাহনাশক গুণ শুধু ত্বকের জেল্লা বাড়ায় না। ত্বকে কোনও ক্ষত বা দাগ থাকলে তা-ও সারিয়ে তোলে। সামান্য হলুদ জলে গুলে মুখে মেখে নিতেও পারেন, আবার প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে উষ্ণ গরম দুধে এক চিমটে হলুদ দিয়ে খেতেও পারেন।
২) মধু এবং লবঙ্গ
বিরিয়ানি হোক বা পান, লবঙ্গ ছাড়া চলে না। তেমন ত্বকের যত্নেও লবঙ্গ অপরিহার্য। ব্রণ কমানের জন্য এত দিন কত কিছুই না করেছেন, কিন্তু রান্নাঘরে খুঁজে দেখেন নি তো? আবহাওয়ার পরিবর্তনে গলায় খুসখুসে কাশি হচ্ছে বলে কখনও মধু খাচ্ছেন, আবার রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখে লবঙ্গও রাখছেন। ওই লবঙ্গই পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর মুখে লাগিয়ে রাখুন। দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না।
৩) মাখন এবং গোলমরিচ
স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই এখন পাউরুটিতে মাখনের উপর চিনির আস্তরণের বদলে গোলমরিচের গুঁড়ো দিতে পছন্দ করেন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই গোলমরিচ এবং মাখন আপনার ত্বকে এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে। যা ত্বকে মরা কোষ, ব্ল্যাকহেডস্-এর মতো সমস্যা দূর করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy