মায়েদের ত্বকের যত্ন। ছবি: সংগৃহীত।
মা মানে আক্ষরিক অর্থে দশভুজা নয়। হিসাব করে দেখতে গেলে বাস্তবে তার চেয়েও হয়তো খানিক বেশি। ঘরে-বাইরে এক সঙ্গে এত কাজ সামাল দেওয়া বোধ হয় মায়েদের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হল, অন্যদের ভাল রাখতে গিয়ে মায়েরা নিজেদের দিকে তাকাতেই ভুলে যান। সঠিক পরিচর্যার অভাবে তাঁদের ত্বক নিষ্প্রাণ, নিষ্প্রভ হতে শুরু করে। যে কারণে অনেক মা-ই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। পেশাগত, ব্যক্তিগত জীবনে সমতা রাখতে না পারলে মানসিক চাপও বাড়তে পারে। তার উপর সন্তান যদি একেবারে ছোট হয়, তা হলে তো কথাই নেই। সারা দিন তার পরিচর্যা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। রাতেও ঘুম হয় না। তবে, কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে এত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু ত্বকের পরিচর্যা করা যায়।
১) নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা:
ত্বকের ধরন বুঝে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ত্বকের চরিত্র বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের পিএইচের সমতা রাখাও প্রয়োজন। বয়স এবং আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ধরনও বদলাতে থাকে। তাই সেই বুঝে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
২) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা:
ত্বক ভাল রাখার প্রথম শর্ত হল আর্দ্রতা। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই মুখে টোনার ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই মনে করেন, গরমকালে মুখে কিছু মাখার প্রয়োজন পড়ে না। এ ধারণা ভুল। আর্দ্রতা বজায় রাখতে, ত্বকের ধরন অনুযায়ী মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার প্রয়োজন রয়েছে। ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে যদি ‘এসপিএফ’ থাকে, তা হলে আরও ভাল হয়।
৩) সমস্যা বুঝে প্রসাধনীর ব্যবহার:
সব মায়ের ত্বকে এক ধরনের সমস্যা হয় না। কারও চোখের তলায় কালি পড়ে, কারও মুখে মেচেতা। আবার, মা হওয়ার পরেও কারও মুখ ভর্তি ব্রণ হতে দেখা যায়। তাই ত্বকের ধরন বুঝে যেমন প্রসাধনী কিনবেন, তেমন নির্দিষ্ট সমস্যাগুলির কথাও মাথায় রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy