বিয়ের সাজে অম্বানীর বৌমাদের পরনে কেন পুরনো পোশাক, গয়না? ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধুত্ব বদলে গেল দাম্পত্যে, চার হাত এক হল মুকেশ অম্বানী ও নীতা অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী ও রাধিকা মার্চেন্টের। বিয়েবাড়ির আয়োজন ছিল চোখধাঁধানো। ছেলের বিয়ের দু’টি প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠান ও বিয়ের মূল উদ্যাপন মিলিয়ে মোট ৫০০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন মুকেশ। এত দিন ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান, ভারতে এই প্রথম।
বিয়ের দিনে সাদা-লাল লেহঙ্গায় রানির বেশে সেজেছিলেন রাধিকা। পোশাকশিল্পী আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার নকশা করা পোশাকেই সেজেছিলেন নববধূ। রাধিকার পোশাকের পাশাপাশি তাঁর গয়নাও ছিল নজরকাড়া। তবে, এই গয়না প্রথম রাধিকা পরেননি। রাধিকার দিদি অঞ্জলি মার্চেন্ট নিজের বিয়েতে একই গয়না পরেছিলেন। ২০২০ সালেই অঞ্জলিকে দেখা গিয়েছে ওই একই গয়নার সাজে। তবে নিজের বিয়েতে কেন পুরনো গয়না পরলেন অম্বানীদের ছোট বৌমা, সেই নিয়ে চারদিকে চর্চার শেষ নেই। এই গয়না আসলে রাধিকার দিদিমার। দিদিমা, মা, দিদি এবং শেষমেশ রাধিকা— প্রজন্ম পরম্পরায় বিয়ের দিন এই গয়না পরার চল রয়েছে রাধিকার পরিবারে। গলার চোকার থেকে কানের দুল, মাথার টিকলি থেকে হাতপদ্ম— দিদির বিয়ের দিনের সমস্ত গয়নাই দেখা গেল রাধিকার অঙ্গে।
বিয়ের লেহঙ্গা অন্য কোনও আত্মীয়দের বিয়েতে পরার চল রয়েছে সাধারণের মধ্যে। তবে অম্বানী বাড়ির বড় বৌকে কি সেই কাজ মানায়? দেওরের বিয়েতে নিজের বিয়ের পুরনো লেহঙ্গাই পরলেন শ্লোকা অম্বানী। অনন্তের বিয়েতে শ্লোকার পরনে ছিল গোলাপি লেহঙ্গা। তবে বিয়েতে তো লাল পরেছিলেন তিনি? শ্লোকার দিদি দিয়া মেহতা জাটিয়া সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আমরা এমন একটি লুক তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যা ভালবাসার প্রতীক হবে। শ্লোকার বিয়ের লেহঙ্গাটি এই অনুষ্ঠানে পরার জন্য একেবারে আদর্শ ছিল। সাজে চমক আনতে লেহঙ্গার রং বদলে গোলাপি করা হয়েছে মাত্র।’’ শ্লোকার বিয়ের লেহঙ্গাটিরও নকশা করেছিলেন পোশাকশিল্পী আবু জানি ও সন্দীপ খোসলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy