জাপানি বা কোরিয়ানদের মতো ‘গ্লাস স্কিন’ পেতে পার্লারে গিয়ে যথেচ্ছ খরচা করছেন অনেকেই। গাদা গাদা রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী মেখে, ত্বকেরও বারোটা বাজছে। অনেকে আবার দেখেশুনে দাম দিয়ে অনলাইনে কোরিয়ান প্রসাধনীও কিনেছেন। সবই সুন্দর, দাগছোপহীন, জেল্লাদার ত্বক পাওয়ার আশায়। এতে যে লাভ কিছুই হচ্ছে না, উল্টে ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে, তা জানেন কি?
ভাল ত্বকের গোপন রহস্য হল আর্দ্রতা। ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্প বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। ত্বকে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল না করলে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা যদি ধরে রাখতে হয়, পাশাপাশি ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়, তা হলে কী ব্যবহার করা উচিত তা জেনে রাখা ভাল।
‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি’-তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ত্বক মসৃণ ও জেল্লাদার করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হতে পারে গ্লিসারিন। এটি সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে পারলে শুষ্ক ত্বক নরম ও মসৃণ হবে খুব কম দিনের মধ্যেই। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, গ্লিসারিনের সঙ্গে যদি ভিটামিন সি পাউডার বা সিরাম মিশিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে খুব তাড়াতাড়ি।
আরও পড়ুন:
ভিটামিন সি সিরাম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে যা ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের দাগছোপ বা ‘পিগমেন্টেশন’-এর সমস্যাও দূর করতে পারে। দুটি একসঙ্গে মাখলে, ত্বকের ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যাও দূর হবে।
কী ভাবে মাখবেন?
১) এক চা চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে আধ চামচ ভিটামিন সি পাউডার মিশিয়ে নিন। এতে দু’চামচ জল মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। রাতে শোয়ার আগে এই মিশ্রণ অল্প পরিমাণে মিখে মাখলে ত্বক কোমল থাকবে।
২) আধ চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে আধ চামচ ভিটামিন সি সিরাম মিশিয়ে তার সঙ্গে আধ কাপের মতো গোলাপ জল মিশিয়ে তা স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। কোথাও যাওয়ার আগে মুখে স্প্রে করে নিলে ক্লান্তির ছাপ নিমেষে উধাও হবে।
৩) এক চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে আধ চামচ ভিটামিন সি পাউডার মিশিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ দউ মিশিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। ফেস মাস্ক হিসেবে এটি ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন মাখলেই উপকার হবে।