Advertisement
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
Make Up Hacks

লিকুইড না কি পাউডার, আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী কেমন ব্লাশ দীর্ঘ ক্ষণ টিকে থাকবে?

যতই দামি প্রসাধনী কিনুন না কেন, মনের মতো মেকআপ কিন্তু অধরাই থেকে যাবে। তাই এই প্রসাধনী কেনার আগে জানতে হবে, কত ধরনের ব্লাশ পাওয়া যায় আর কেমন ত্বকের জন্য কেমন ব্লাশ প্রযোজ্য?

ব্লাশ কিনুন ত্বকের ধরন বুঝে।

ব্লাশ কিনুন ত্বকের ধরন বুঝে। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১১
Share: Save:

ত্বকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে, ধরন বুঝে তবেই মেকআপ প্রসাধনী কিনতে হয়। ফাউন্ডেশন, কনসিলার, কমপ্যাক্ট, এমনকি লিপস্টিক কেনার সময়েও ‘টেস্টার’ ব্যবহার করে দেখে নিতে বলেন অভিজ্ঞেরা। কিন্তু ব্লাশের ক্ষেত্রেও যে সেই একই নিয়ম প্রযোজ্য, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। যতই দামি প্রসাধনী কিনুন না কেন, মনের মতো মেকআপ কিন্তু অধরাই থেকে যাবে। তাই এই প্রসাধনী কেনার আগে জানতে হবে, কত ধরনের ব্লাশ পাওয়া যায় আর কেমন ত্বকের জন্য কেমন ব্লাশ প্রযোজ্য?

পাউডার ব্লাশ:

মেকআপ শেষে গালে জেল্লাদার আভা আনতে এই ব্লাশ ব্যবহার করা হয়। মূলত কমপ্যাক্ট কেসে প্রেস্ড পাউডারের রূপে এই ব্লাশ পাওয়া যায়। যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্লাশ ব্যবহার করাই ভাল। এই ব্লাশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল টেনে নিয়ে ত্বকে আভা আনতে সাহায্য করে।

ক্রিম ব্লাশ:

মেকআপ করার পর অনেকেরই ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ক্রিম ব্লাশ তাঁদের জন্য দারুণ কাজ করে। এই ব্লাশে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন রকম উপকরণ থাকে। দিনের বেলা খুব বেশি মেকআপ করতে চান না অনেকেই। তাঁরা বিবি বা সিসি ক্রিম মাখার পর হালকা করে ক্রিম ব্লাশ মেখে নিতে পারেন। ক্রিম ব্লাশ ত্বকের সঙ্গে খুব ভাল ভাবে মিশে যায়।

লিকুই়ড ব্লাশ:

কাচের শিশিতে লিকুইড (তরল) ব্লাশ পাওয়া যায়। এই ধরনের ব্লাশ সব ধরনের ত্বকেই খুব ভাল ভাবে মিশে যেতে পারে। যাঁরা একটু জেল্লাদার মেকআপ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এই ব্লাশ বেশ ভাল। পাউডার ব্লাশের তুলনায় লিকুইড ব্লাশ ব্যবহার করলে মেকআপ অনেক বেশি সময় ধরে টিকে থাকে।

জেল ব্লাশ:

যাঁরা সদ্য মেকআপ করতে শিখেছেন তাঁদের জন্য এই ব্লাশ ব্যবহার করা খুব সহজ। জেলের মতো দেখতে এই ব্লাশ ত্বকের সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে মিশে যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে এবং যাঁদের ত্বক শুষ্ক ও তৈলাক্তের মাঝামাঝি পর্যায় পড়ে, তাঁদের জন্য এই ব্লাশ ব্যবহার করাই ভাল। এই ব্লাশ এক বার ব্যবহার করলে অনেক ক্ষণ থাকে ত্বকে। কেবল গালেই নয়, চোখের পাতা আর ঠোঁটেও এই ব্লাশ ব্যবহার করা যায়।

টিন্ট ব্লাশ

যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা ত্বকে আরও বেশি আর্দ্রতার ছোঁয়া দিতে ব্যবহার করতে পারেন চিক চিন্ট। এই প্রসাধনী কিন্তু শুধু গালের জন্য নয়, ঠোঁট রাঙাতেও ব্যবহার করা যায়। যাঁরা খুব হালকা ও নো মেকআপ লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের ব্লাশ আদর্শ।

কোন রং কেমন ত্বকের জন্য আদর্শ?ত্বকের রং যদি একটু চাপা হয়, সে ক্ষেত্রে হালকা গোলাপি, বেরির মতো হালকা লাল কিংবা গোলাপির সঙ্গে মভের মিশেলে তৈরি রং গালে মাখতে পারেন। যাঁদের গায়ের রং খুব উজ্জ্বল নয় আবার চাপাও নয়, তাঁরাও উপরের ওই রঙের শেড ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া, রোজ় ন্যুড, মভ, হালকা গোলাপিও ভাল লাগে। খুব ফর্সা হলে কোরাল, পিচ, অ্যাপ্রিকটের মতো হালকা কমলা রং ব্যবহার করা যেতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Make Up Hacks Makeup Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy