ত্বক যেন অকালে বুড়িয়ে না যায়। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে তার প্রতিফলন শুধু শরীরে নয়, ত্বকেও পড়ে। বয়সের চাকা সামনের দিকে এগোলেই ত্বকের বদল আসতে শুরু করে। সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু অল্পবয়সেই ত্বকের বয়সের ছাপ একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কমবয়সে ত্বকের ছাপ পড়ার নেপথ্যে রয়েছে শরীরের প্রতি অযত্ন। প্রসাধনীর ব্যবহারে ত্বকের বাহ্যিক উন্নতি হয়। কিন্তু ভিতর থেকে তরতাজা থাকতে প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। রোজের কোন অনিয়মের কারণে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ছে?
কম ঘুম
সারা রাত বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করেও দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। অনেকেরই রোজের সমস্যা এটি। কম ঘুম স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন ত্বকের টান টান ভাব শিথিল করে দেয়। ঘুম ঠিক না হলে শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
মদ্যপান
কম হোক বা বেশি— মাঝেমাঝেই সুরাপাত্রে চুমুক দেন অনেকেই। অ্যালকোহল ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ভিতর থেকে শুকিয়ে গিয়ে প্রদাহজনিত নানা সমস্যা তৈরি হয়। কোলাজেন উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। বলিরেখা, শুষ্ক ত্বকের সমস্যার উৎস সেটাই।
জল কম খাওয়া
পরিমাণমতো জল না খেলে শুধু শরীর আর্দ্রতা হারায়, তা নয়। ত্বকও ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়। শুকনো, খসখসে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায় সহজেই। জেল্লা হারিয়ে সঙ্গী হয় নানা সমস্যা। দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল খাওয়া তাই বাধ্যতামূলক।
শরীরচর্চা না করা
ব্যায়াম ত্বকের খেয়াল রাখতেও পারদর্শী। কিন্তু শরীরচর্চার অভাবে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। ত্বকের নিজস্ব ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। ত্বক বুড়োটে হয়ে যায়। শরীরচর্চা রক্তচলাচল সচল রাখে। তাতে ত্বকও ঝকঝকে হয়ে ওঠে ভিতর থেকে।
সানস্ক্রিন না মাখা
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বারোমাসের অভ্যাস হওয়া উচিত। তা না হলে কম বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যাবে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এর অন্যতম কারণ। তাই সানস্ক্রিন মাখা অত্যন্ত জরুরি। সানস্ক্রিন ত্বকের সুরক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy