ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে তো আর বেশি দিন বাকি নেই। দেহের বাড়তি মেদ ঝরাতে ডায়েট শুরু করেছেন। কিন্তু হাতের সামনে বিরিয়নি পেলে কেই বা ছেড়ে দেয়? কিংবা পুজোর কেনাকাটা করতে গিয়ে রাস্তার তেলমশলা দেওয়া খাবার, সে সবও বাদ দেওয়া যায় না। কাজের চাপে ঘন ঘন কফি খাওয়া কিংবা রাত জাগার অভ্যাসও রয়েছে। এই সবের প্রভাব কিন্তু পড়ে ত্বকের উপর। স্পর্শকাতর ত্বক আরও সংবেদী হয়ে ওঠে। তৈলাক্ত ত্বক থেকে হুড়মুড়িয়ে বেরোতে শুরু করে সেবাম বা ত্বকের নিজস্ব তেল। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্র বা ছিদ্রগুলি বুজে যায়। তার উপর জমতে থাকে ধুলোময়লা। ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেড্স কিংবা হোয়াইটহেড্সের সমস্যাও দেখা দেয়। শুধু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। তার জন্য যেমন খাওয়াদাওয়ার উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন, তেমনই ত্বকচর্চার বিষয়েও সচেতন হওয়া জরুরি।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী মেনে চলতে হবে?
১) ক্লিনজ়িং
ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে অয়েল-ফ্রি ক্লিনজ়ার ব্যবহার করাই ভাল। এ ক্ষেত্রে ব্রণ-যুক্ত ত্বকে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, বেঞ্জয়েল পারঅক্সাইড দেওয়া ফেসওয়াশ ভাল কাজ করে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
২) এক্সফোলিয়েটিং
সেবাম, ত্বকের উপর জমা ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে হলে মাঝেমধ্যে এক্সফোলিয়েট করাও জরুরি। তবে রোজ নয়, সপ্তাহে দু’বার এক্সফোলিয়েট করলেই চলবে।
৩) টোনিং
ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে, ত্বক আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া ওপেন পোরসের সমস্যা থাকলেও টোনার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন রূপটানশিল্পীরা। স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং টি ট্রি অয়েল-যুক্ত টোনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভাল।
৪) ময়েশ্চারাইজ়িং
তৈলাক্ত ত্বক বলে ময়েশ্চারাইজ়ার বা ক্রিম মাখতে চান না অনেকে। এই ধারণাও ঠিক নয়। তৈলাক্ত ত্বকে জেল বা ওয়াটার-বেস্ড ময়েশ্চারাইজ়ার মাখাই ভাল।
৫) সানস্ক্রিন
বাইরে বেরেনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। সানস্ক্রিনও ত্বকের ধরন অনুযায়ী কিনতে পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy