ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে গোলাপজল স্প্রে করে নেন। তার ফলে মনটা যেমন চনমনে হয়ে ওঠে, তেমনই চামড়ায় টান ভাবটাও থাকে না। কিন্তু এই গোলাপজল কি মাথার ত্বকে মাখা যায়? তাতে চুলের আদৌ কোনও উপকার হয়?
কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, ঠান্ডার সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকে। ফলে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। যে কারণে চুল ঝরার পরিমাণও বাড়তে থাকে। ধোঁয়া, ধুলো দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত, নির্জীব চুল প্রাণবন্ত করে তুলতেও সাহায্য করে গোলাপজল। এ ছাড়াও মানসিক চাপ হল চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে এই তরলটি।
আরও পড়ুন:
মাথায় গোলাপজল মাখবেন কেন?
১) সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে:
স্বাভাবিক নিয়মেই মাথার ত্বক থেকে সেবাম ক্ষরণ হয়। কারও ক্ষেত্রে কম, কারও ক্ষেত্রে বেশি। গোলাপজলের মধ্যে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান রয়েছে, যা মাথার ত্বকের সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে পিএইচের সমতাও বজায় থাকে। খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে গোলাপজল।
২) চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে:
মাথার ত্বক স্বাভাবিক হলেও চুল রুক্ষ হয় অনেকের। তবে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে গোলাপজল। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে ময়েশ্চারের অভাবে। গোলাপজলের গুণে সেই সমস্যারও সমাধান হতে পারে।
৩) রুক্ষ চুল নরম হয়:
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ছাড়াও গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি৩, যেগুলি মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকে প্রদাহজনিত অস্বস্তিও দূর করে গোলাপজল।
আরও পড়ুন:
চুলে রোজ গোলাপজল ব্যবহার করা যায় কি?
ইদানীং অনেকেই চুলে টোনার, সিরাম ব্যবহার করেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলাপজল বা গোলাপের নির্যাস দিয়ে তৈরি মিস্ট তেমন ভাবেই মাথায় মাখা যায়। আবার গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার মাখতে পারেন। এই উপাদান দিয়ে তৈরি মাস্কও চুলের জন্য ভাল।