—প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের দিন সকালে গায়ে কাঁচা হলুদ বাটার প্রলেপ মাখানোর রেওয়াজ বহু পুরনো। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে এই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। আবার, আয়ুর্বেদে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হয় ঔষধি হিসাবে। ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলা ছাড়াও র্যাশ-ব্রণের সমস্যা দূর করতে হলুদের কোনও জবাব নেই। সুন্দর, নমনীয় ও মসৃণ ত্বক পেতে ভরসা রাখতে পারেন হলুদের উপর। ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার পদ্ধতিও আলাদা। মাখার আগে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
১) তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা। আবার মুখময় ব্রণও হয়েছে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মাখলেই সমস্যার সমাধান হবে। ত্বকে সেবাম ক্ষরণের হার নিয়ন্ত্রণ করে লেবুর রস। আর কাঁচা হলুদ ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে।
২) শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে ওটমিলের সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে মাখা যেতে পারে। ত্বকের উপর থেকে মৃত কোষের পরত সরিয়ে ভিতর থেকে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে এই প্যাক।
৩) কাঁচা হলুদের সঙ্গে সামান্য মধু এবং কাঁচা দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখলে শুষ্ক ত্বক পেলব হয়। রোদে পোড়া দাগ তুলতেও দারুণ কাজের এই টোটকা।
৪) অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান হিসাবে দারুণ কাজ করে নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ বাটা। ত্বকের সংক্রমণজনিত সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে এই মিশ্রণ। তবে এই ধরনের ভেষজ থেকে অনেকেরই সমস্যা হতে পারে। তাই মুখে মাখার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
৫) পুদিনা পাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ বেটে মুখে মাখলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। ব্রণ সেরে যাওয়ার পর ত্বক থেকে তার দাগ তুলতেও সাহায্য করে এই মিশ্রণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy