ইদানীং অনেকের হেঁশেলেই লাল চায়ের বদলে ঠাঁই পেয়েছে গ্রিন টি। ঘুম থেকে উঠেই হোক কিংবা অফিসে কাজের মাঝে চাঙ্গা হতে তরুণ-তরুণীরা গ্রিন টিয়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। বিপাকহার বৃদ্ধি করতে, হজমের সমস্যা দূর করতে এমনকি, ওজন ঝরাতে এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু শরীরের যত্নেই নয়, রূপচর্চাতেও গ্রিন টি ভীষণ উপকারী।

ত্বক ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে গ্রিন টি ভীষণ উপকারী। বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও এই চায়ের ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণর সমস্যাতেও এই চা ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের প্রদাহ কমাতেও এই কাজে আসে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিন টি-তে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

রূপচর্চার কাজে কী ভাবে গ্রিন টি ব্যবহার করবেন?

টোনার হিসাবে: রাস্তায় বেরোলেই ধুলো-ময়লার কারণে ত্বকের বেহাল দশা হয়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। বাড়ি ফিরেই টোনার ব্যবহার না করলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে খুব বেশি সময় লাগবে না। গ্রিন টি কিন্তু টোনার হিসাবে দারুণ কাজ করে। বেশি করে গ্রিন টি বানিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। রাস্তা থেকে ফিরে বা রাতে ঘুমোনোর আগে এই টোনার ব্যবহার করুন।

স্ক্রাবার হিসাবে: নিয়মিত ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার না করলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে সময় লাগে না। মৃত কোষ দূর করতেও গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন। গ্রিন টি-র পাতা অল্প জলে ভিজিয়ে ফেসওয়াশের সঙ্গে মিশিয়ে মিনিট দুয়েক ভাল করে ত্বকে ঘষে নিন। তার পর সাবান-জলে ধুয়ে নিলেই জেল্লা ফিরবে ত্বকের।

ক্লিনজ়ার হিসাবে: নিয়মিত ত্বক ক্লিনজ়ার দিয়ে পরিষ্কার না করলে ত্বকের জেল্লা কমে যায়। দুই টেবিল চামচ গ্রিন টি-র লিকার আর এক টেবিল চামচ মধু দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ক্লিনজ়ার। এই মিশ্রণ বানিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের জেল্লা ফিরে পাবেন।