ব্রণর দাওয়াই যখন রসুন। ছবি: শাটারস্টক।
পাঁঠার মাংস হোক কিংবা মাছের কালিয়া— আমিষ রান্নায় রসুন না দিলে স্বাদ ঠিক জমে না। রসুনের গন্ধও কেউ কেউ খুব পছন্দ করেন। কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয়, ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। সর্দি-কাশি হোক, কিংবা গাঁটের ব্যথা— সবেতেই কাজে লাগতে পারে রসুন। কারণ রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ, যা প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে।
তবে রসুনে আরও নানা ধরনের গুণ আছে, যা ত্বকের যত্ন নিতে সক্ষম। ভিটামিন বি-৬, সি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, কপার আছে এতে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে এই সব উপাদান। রসুনে অ্যালিসিন নামক এক উপাদান রয়েছে। তা ত্বক মসৃণ করে। সঙ্গে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার মতো সমস্যা আটকায়। ফলে ত্বকের যত্নে রসুনের ব্যবহার বেশ কার্যকর।
কিন্তু কী ভাবে রূপচর্চায় রসুন ব্যবহার করবেন? শুধু কি রসুন বেটে মেখে নেবেন, না কি রয়েছে অন্য কোনও কায়দা?
সরাসরি ত্বকে রসুন প্রয়োগ করলে কাজ হবে। রূপচর্চার ক্ষেত্রে নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েলে মিশিয়ে তার পরেই ত্বকে ব্যবহার করা যায় রসুন। তেল গরম করে তাতে রসুন দিয়ে কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে, তার পর ঠান্ডা করেই এই তেল ব্যবহার করতে হয়। ব্রণ কিংবা দাগছোপ দূর করতে এই দাওয়াই ব্যবহার করা যেতেই পারে। ত্বকে এই তেল লাগানোর তিন থেকে চার মিনিট পর ভাল করে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছু ক্ষণ পর নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন। জেল্লা বাড়বে, বলিরেখাও দূর হবে।
কেবল ত্বকের পরিচর্যায় নয়, চুলের যত্নেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। রাতে এই তেল সামান্য গরম করে মাথায় মালিশ করে নিন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। চুল পড়া থেকে খুশকির সমস্যা— রসুনের গুণেই সব হবে জব্দ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy