ছবি: সংগৃহীত।
দাড়ি কাটার পর দু’গালে ফিটকিরি মাখার চল বহু পুরনো। তবে শুধু অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানের জন্য নয়, এই খনিজটি রূপচর্চার জগতেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ফিটকিরিতে রয়েছে পটাশিয়াম অ্যালুমিনাম সালফেট। এটি প্রদাহনাশক এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট জাতীয় একটি উপাদান। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে দারুণ কাজ করে। দোকানে ফিটকিরি সাধারণত জমাট বাঁধা খণ্ড অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই খণ্ডটি সরাসরি মুখে ঘষে নেওয়া যেতেই পারে। তবে প্যাক হিসাবে মাখতে গেলে তা গুঁড়ো করে নেওয়াই শ্রেয়।
মুখে ফিটকিরি মাখবেন কেন?
১) ফিটকিরির অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ত্বকে প্রদাহজনিত সমস্যা, ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করতে সাহায্য করে।
২) ফিটকিরির মধ্যে প্রাকৃতিক ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ রয়েছে। ওপেন পোরস সঙ্কুচিত করতে বা সেবাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমতা রাখতেও সাহায্য করে। ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৩) নিয়মিত ফিটকিরি ব্যবহার করলে ত্বকের ‘টেক্সচার’ ভাল হয়। ত্বকের উপর জমা মৃত কোষ সরিয়ে হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে মাখবেন ফিটকিরি?
গোলাপজলের সঙ্গে একেবারে অল্প পরিমাণে ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। প্যাকের মতো মুখে মেখে নিতে পারেন। মিনিট দশেক রেখে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক বা স্পর্শকাতর হয়, সে ক্ষেত্রে ফিটকিরি না মাখাই ভাল। আবার, দাড়ি কাটার পর বা কোথাও কেটেছড়ে গেলে এক খণ্ড ফিটকিরি আর সামান্য একটু জল নিয়ে সরাসরি ত্বকে মেখে নেওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy