প্রোটিনে ভরপুর ডিম খেলে শরীর ভাল থাকে। রুক্ষ চুলের পরিচর্যাতেও ডিম ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ডিম দিয়ে যে ত্বকেরও যত্ন নেওয়া যায়, জানা আছে কি?
ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম, দুই-ই রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়। সাদা অংশ ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে। আর কুসুমের গুণে ত্বক আর্দ্র হয়। দুইয়ের ব্যবহারে তাই টানটান ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব।
ডিমে রয়েছে ‘লুটিন’ নামে এক ধরনের উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ডিমের সাদা অংশে থাকে অ্যালবুমিন। যা ত্বককে টানটান করে। তবে ডিম ব্যবহার করলেই হল না, ত্বকের ধরন অনুযায়ী বুঝতে হবে, কোনটা প্রয়োজন।
এক্সফোলিয়েশন
ত্বকের জন্য এক্সফোলিয়েশন খুব জরুরি। এতে মৃত কোষ দূর হয়। যার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসে। ডিম দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব।
উপকরণ
একটি ডিমের সাদা অংশ
২ চা-চামচ ওট্স গুঁড়ো
১ চা-চামচ মধু
পদ্ধতি
সমস্ত উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ঘষতে হবে। মিনিট দুয়েক এ ভাবে আঙুলের ডগা দিয়ে ঘষে ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিলেই, তফাতটা বুঝতে পারবেন। এতে ত্বকে জমে থাকা ধুলো-ময়লা ও মৃত কোষ পরিষ্কার হবে। ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ময়শ্চারাইজ়ার
শুষ্ক ত্বককে গভীর ভাবে আর্দ্র করতে সাহায্য করে ডিমের কুসুম।
উপকরণ
একটি ডিমের কুসুম
১ চা-চামচ মধু
১চা-চামচ অলিভ অয়েল
আরও পড়ুন:
পদ্ধতি
চাইলে এক্সফোলিয়েশনের পর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে গোল গোল করে মালিশ করতে হবে। তার পর ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বক শুষ্ক হলে মিশ্রণটি বিশেষ ভাবে তা আর্দ্র রাখতে করতে সাহায্য করবে।
মাস্ক
ত্বকের কালচে ছোপ ও সংক্রমণ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ডিম ও হলুদের মাস্ক।
উপকরণ
একটি ডিমের সাদা অংশ
১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো
পদ্ধতি
দু’টি উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। মাস্কটি শুকিয়ে গেলে, হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে। হলুদের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধের উপাদান থাকে। ডিমে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই মাস্কে ত্বক হবে দাগহীন ও টানটান।