সন্তান জন্মের পরে ত্বক ও চুলের বিশেষ যত্ন দরকার। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য মা হয়েছেন। সংসার আর কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব সামলানোর চাপ তো ছিলই। মা হওয়ার পরে দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। এখন ঘরে এসেছে নতুন সদস্য। তার দেখাশোনাতেই সময় কেটে যায়। নাওয়াখাওয়ার সময়ই নেই নতুন মায়েদের। তার মধ্যে কি আর রূপচর্চা করা যায়? এ দিকে সন্তান জন্মের পরে ত্বক ও চুলের বেহাল দশা। শরীরেও বদল আসছে। হরমোনের তারতম্য ঘটছে যার ছাপ ভাল মতোই পড়ছে ত্বকে। তা হলে উপায়?
সময়ের অভাব থাকলে কী ভাবে সহজে নিজেদের ত্বকের যত্ন নেবেন নতুন মায়েরা, তার কয়েকটি সহজ উপায় আছে। ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সব দায়িত্ব সামলেও কিছুটা সময় নিজের জন্য বার করুন। সহজ কিছু ঘরোয়া টোটকা আছে, যা নিয়ম করে মেনে চললে কিছু দিনেই ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে আসবে।
ত্বকের যত্নে
সদ্য মায়েরা বেশির ভাগ সময়েই ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যায় ভোগেন। ত্বকে কালো দাগছোপও পড়তে পারে। সন্তান প্রসবের পরে হরমোনের বদল ও ওষুধপত্রের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমন হতে পারে। অনেকের ত্বকে ‘এগ্জিমা’ বা লাল লাল ব়্যাশ দেখা দেয়। সে জন্য নিয়মিত ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। ত্বকে যাতে ময়লা না জমে, সেটা দেখতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করার পর রোজ এক বার অন্তত ভাল ভাবে ক্রিম মাখুন। তা হলেই অনেকটা যত্নে থাকবে ত্বক। তবে কী ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করবেন, সেটা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।
বাড়িতেই চন্দন, মুলতানি মাটি বা অ্যালো ভেরা দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি
অনেক মা-ই ভাবেন গর্ভাবস্থায় বা সন্তান জন্মের পরে সানস্ক্রিন লাগানো উচিত নয়। সেটা একেবারেই নয়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গর্ভাবস্থার আগে ও পরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। ভাল ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচাবে। সন্তান জন্মের পরেও নিয়ম করে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে, এতে ত্বকে দাগছোপ পড়বে না।
জল খান
দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল খান। তার জন্য আলাদা ভাবে সময় দিতে হবে না। কিন্তু ত্বক সুস্থ থাকবে। চেহারায় জেল্লাও থাকবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে
সন্তানের জন্মের পর থেকে বেশি চুল পড়ছে? এই সময়ে হরমোনের তারতম্যের কারণে এমন অনেকেরই হয়। অন্তঃসত্ত্বাদের প্রোজেস্টেরন হরমোন অনেকটা বেশি থাকে। কমতে থাকে ইস্ট্রোজেন। তার ফলেই বেশি চুল পড়ে। তাই এই সময়টাতে খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া জরুরি। সবুজ শাকসব্জি, ফল বেশি করে খেতে হবে। দানাশস্য যেমন ওট্স, মিলেট জাতীয় খাবার খেতে হবে। নিয়মিত খাওয়ার পাতে ঘি রাখুন। ত্বক ও চুলের নানা সমস্যার সমাধানে ঘি দারুণ উপকারী।
যোগাসন
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যোগাসন করতে পারন। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যোগাসনের জুড়ি মেলা ভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy