চুলের যত্নে নিম ব্যবহার করুন। ছবি: সংগৃহীত।
ছোটবেলায় রুমকির মাথায় খুশকি হলেই তাঁর মা নিমপাতার জল ফুটিয়ে মাথা ধুইয়ে দিতেন। রুমকির দিদির ছিল মুখভর্তি ব্রণ। তাঁর ব্রণের সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল নিমপাতা বাটার প্রলেপ দিয়ে। ত্বক এবং চুলের যত্নে নিমের গুরুত্ব অপরিসীম। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিবায়োটিক গুণ ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকে চুল এবং ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু এই নিমপাতা ব্যবহারেরও নিয়ম রয়েছে। জলের মধ্যে নিমপাতা ফুটিয়ে নিলেই কিন্তু তার সমস্ত গুণ বজায় থাকে না।
নিমপাতার জল তৈরি করতে গেলে কী করতে হবে?
১) প্রথমে গ্যাসে জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন।
২) তার পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। এক মুঠো নিমপাতা নিয়ে জলে দিয়ে পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়ে দিন।
৩) ওই অবস্থায় রেখে দিন গোটা রাত।
৪) পরের দিন জল থেকে পাতা ছেঁকে নিন।
৫) এ বার ওই জল চুল এবং মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের জলেও মিশিয়ে নিতে পারেন এই জল।
৬) তবে মনে রাখবেন, জলের মধ্যে পাতা কিন্তু ফোটানো যাবে না।
গরমে র্যাশ, বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণ এবং শীতে চামড়ায় খোসা ওঠা বা চুলকানির সমস্যা থাকলে নিমের জল দারুণ ভাবে কাজ করে। মাথার ত্বকে ছত্রাকঘটিত যাবতীয় সমস্যা দূর করে এই নিমপাতার জল। তবে নিমপাতা নারকেল বা তিল তেলের মধ্যে ফুটিয়ে মাথায় মাখলেও একই রকম উপকার মিলবে।
গরমে গায়ে র্যাশ বা মৃতকোষের সমস্যা হলে নিমপাতা দিয়ে স্ক্রাবও বানিয়ে ফেলতে পারেন। নিমপাতা শুকিয়ে বা বেটে তার মধ্যে বেসন দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ সারা গায়ে মেখে রাখুন। মিনিট ২০ পর ধুয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy