বসন্ত মানেই প্রকৃতির ভোলবদল। গাছভরা ফুল, নতুন পাতা, হালকা ঠান্ডা-গরমের মিশেলে ফুরফুরে ভাব। এমন মরসুমে চুলের যত্নে বেছে নিতে পারেন রকমারি ফুল। হাতের কাছে থাকা নানা ফুলে এমন অনেক উপাদান আছে, যা চুলের জেল্লা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
জবা
কেশচর্চায় জবা ফুলের ব্যবহার চলে আসছে বহু দিন ধরেই। শুধু চুল ঝরা রোধ করতেই নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ফুলটি। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের অন্যতম জরুরি উপাদান কেরাটিন নামক প্রোটিনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এবং সি-ও মেলে এতে। ত্বক এবং চুলের জন্য এই দু’টি ভিটামিন কার্যকর।
আরও পড়ুন:
মাস্ক বানাবেন কী ভাবে?
৪-৫টি জবাফুল
১ টেবিল চামচ কাঠবাদামের তেল
পদ্ধতি: জবা ফুল জলে ভিজিয়ে বেটে নিন। সঙ্গে যোগ করুন কাঠবাদামের তেল। মিশ্রণটি ব্যবহারের আগে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে জল মুছে নিন। মাথার ত্বক থেকে প্রতিটি চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। আধ ঘণ্টা মাথায় রাখার পর তা ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে খুব ভাল করে ধুয়ে নিন।
গাঁদা
খুশকি কমাতে এবং চুলের জেল্লা ফেরাতে গাঁদা ফুলের তেল, নির্যাস, প্যাক— সবই ব্যবহার করা চলে। রুক্ষ চুল নরম করতেও উপকারী এই ফুল।
মাস্ক বানাবেন কী ভাবে?
উপকরণ
৩-৪টি গাঁদা ফুল
১ টেবিল চামচ আমলকি পাউডার
১ টেবিল চামচি শিকাকাই পাউডার
২ টেবিল চামচ টক দই
পদ্ধতি: গাঁদা ফুলের পাপড়ি ছাড়িয়ে ধুয়ে বেটে নিন। একে একে যোগ করুন আমলকি, শিকাকাই গুঁড়ো এবং টক দই। মিশ্রণটি মাথায় মেখে মিনিট পাঁচেক মালিশ করুন। আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে নিন। মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তার পর কন্ডিশনার মাখতে ভুললে চলবে না।
নয়নতারা
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামটেরি উপাদান রয়েছে নয়নতারা ফুলে। খুশকি দূর করে, চুল নরম এবং সুন্দর করতে সাহায্য করে ফুলটি।
মাস্ক বানাবেন কী ভাবে?
একমুঠো নয়নতারা ফুল
১ টেবিল চামচ মধু
১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা
পদ্ধতি: ফুল খুব ভাল করে ধুয়ে জল শুকিয়ে নিন। তার পর বেটে মধু এবং অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে, খুশকি কমাতে সাহায্য করবে এই মাস্ক। পরিষ্কার চুলে এটি মেখে হালকা হাতে মালিশ করুন। ২০-৩০ মিনিট তা মাথায় রাখলেই যথেষ্ট। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। শ্যাম্পুও করতে পারেন।