Advertisement
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Acne Scar Treatment

মুখের দাগ উধাও হবে কয়েকটি খাবার খেলে! পুজোর আগেই ত্বকে আসবে ঔজ্জ্বল্য

দাগ মোছার নানা চেষ্টা করে যাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁরা এ সময়ে মন দিতে পারেন খাওয়াদাওয়ায়। কয়েকটি খাবার নিয়ম করে খেলে পুজোর আগেই ফল মিলবে।

ছবি : সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১১
Share: Save:

সেই কবে মুখে ব্রণ বা ফুশকুড়ি হয়ছিল। সে সব হয়তো মিলিয়েও গিয়েছে। কিন্তু রয়ে গিয়েছে দাগ। দু’গালে স্পষ্ট হয়ে থাকা সেই সব দাগ কখনওসখনও বিড়ম্বনাতেই ফেলে।

দাগ মোছার নানা চেষ্টা করে যাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁরা কিছু খুব চেনা খাবার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রেখে দেখতে পারেন। কারণ, ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ভিতর থেকে এবং প্রাকৃতিক ভাবে যদি ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায়, তবে তার থেকে ভাল আর কিছু হতেই পারে না।

১। পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামের হজমে সহায়ক উৎসেচক। ত্বক পরিচর্যার বহু প্রসাধনীতে এই প্যাপেইনের ব্যবহার হয়। কারণ, প্যাপেইন ত্বকের মৃত কোষ সরাতে পারে। ত্বকের রন্ধ্রপথ পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং খুলতে সাহায্য করে। ব্রণ-ফুশকুড়ির দাগ হালকা করতে পারে। পাশাপাশি, ত্বককে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে। যার ফলে ত্বকে বয়সজনিত বলিরেখা পড়ে না।

ত্বক পরিচর্যার বহু প্রসাধনীতে প্যাপেইনের ব্যবহার হয়।

ত্বক পরিচর্যার বহু প্রসাধনীতে প্যাপেইনের ব্যবহার হয়। ছবি: সংগৃহীত

২। বেরি: বেরি জাতীয় যে কোনও ফল। তা যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, চেরি হতে পারে, তেমন আমলকিও হতে পারে। এই ধরনের ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি। যা কালচে দাগ-ছোপকে শুধু দূরেই রাখে না, এই ফল নিয়মিত খেলে ত্বকে দাগ ছোপ ধরবেই না।

৩। পাতিলেবু: শুধু পাতিলেবুর রস নয়, পাতিলেবুর খোসার সবুজ অংশও আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

পাতিলেবুর খোসার সবুজ অংশও উপকারী।

পাতিলেবুর খোসার সবুজ অংশও উপকারী। ছবি: সংগৃহীত

৪। তৈলাক্ত মাছ: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন মাছ যেমন ইলিশ, কাতলা, পমফ্রেট, ভেটকি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এই ধরনের মাছ ত্বকে জেল্লা ফেরায়। দাগ কমাতেও সাহায্য করে।

৫। হলুদ: ত্বক ভাল রাখতে হলুদের উপকারিতার কথা প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রেও বলা আছে। হলুদে আছে কার্সুমিন কম্পোনেন্ট। তাতে যেমন প্রদাহরোধী উপকরণ রয়েছে, তেমনই রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। হলুদ ত্বকের রন্ধ্রপথ ছোট করে, যাতে তার মধ্যে ময়লা জমতে না পারে। পাশাপাশি, ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে হলুদ।

হলুদের উপকারিতার কথা প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রেও বলা আছে।

হলুদের উপকারিতার কথা প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রেও বলা আছে। ছবি: সংগৃহীত

৬। কুমড়ো বীজ: কুমড়ো বীজে জ়িঙ্ক এবং ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডও। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এই সব ক’টি উপাদানই জরুরি। জ়িঙ্ক এবং ভিটামিন ই ব্রণ বা ফুশকুড়ি হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

৭। বীট: এই সব্জিতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। এছাড়া পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে বীটে। সবক’টি উপাদানই ত্বককে দূষণমূক্ত করে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

বীটে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই।

বীটে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। ছবি: সংগৃহীত

৮। ডালশস্য: সয়াবিন, রাজমা, কাবলি ছোলা, বিভিন্ন রকমের ডালে কয়েছে অত্যন্ত কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। তা আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে ব্রণ এবং ফুশকুড়িও হয় কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Acne
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE