কখন কিনবেন নতুন চিরুনি? ছবি: সংগৃহীত।
গরম জলে কয়েক ফোঁটা তরল সাবান দিয়ে চুল আঁচড়ানোর চিরুনিটি ভিজিয়ে রাখেন কিছু ক্ষণ। তার পর অন্য একটি ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে চিরুনি পরিষ্কার করে নেন। কারণ, এই সময়ে খুব একটা ঘাম না হলেও মাথায় তেলতেলে ভাব থাকে। শীতে খুশকির প্রকোপও বাড়ে। চুল আঁচড়ানোর সময়ে সেই সব অবাঞ্ছিত জিনিস চিরুনির গায়ে থেকে যায়। সেই চিরুনি দিয়ে আবার মাথা আঁচড়ালে মাথার ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিরুনি পরিষ্কার করে নিলে এই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যায়।
সে যুক্তি একেবারে ভুল নয়। তবে কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলের যত্নে চিরুনির ভূমিকা কিছু কম নয়। তাই সপ্তাহে এক-দু’বার চিরুনি ধুয়ে নিলেই সব সমস্যার সমাধান হয় না। তার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেটি বদলে ফেলা প্রয়োজন। কিন্তু কত দিন অন্তর?
সোজা, কোঁকড়ানো কিংবা ঢেউখেলানো— চুল যেমনই হোক! আঁচড়াতে গেলে চিরুনি প্রয়োজন। শুধু আঁচড়াতে নয়, আজকাল জট ছাড়াতে কিংবা চুলে নানা ধরনের কায়দা করতেও হরেক রকম ব্রাশ বা চিরুনি ব্যবহার করা হয়। তবে যদি দেখেন চিরুনির ‘ব্রিসল্স’ বা দাঁতে ফাটল ধরেছে, তা হলে অবশ্যই তা বদলে ফেলা উচিত। কেশসজ্জা শিল্পী এবং গবেষক জন স্টিভেন্স বলেন, “চিরুনির মান যদি ভাল না হয়, তা হলে মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলিকলে আঘাত লাগলে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আবার, ব্যবহার করতে করতে অনেক সময়ে চিরুনির সাজানো ব্রিসল্স মাঝখান থেকে একটি করে খুলে পড়ে যেতে পারে। এই লক্ষণ দেখলেও বোঝা যায়, চিরুনি বদলানোর সময় আসন্ন।”
চুলের কায়দা করার সময়ে নানা ধরনের রাসানিক স্প্রে ব্যবহার করা হয়। চুলের ক্ষতি আটকাতে সরাসরি চুলে স্প্রে না দিয়ে অনেকে চিরুনি বা ব্রাশের গায়ে তা মাখিয়ে নেন। তাতে চিরুনির মান আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে একটি চিরুনি মাস ছয়েকের বেশি ব্যবহার করা যায় না। যদি তা না-ও করেন, সে ক্ষেত্রে চুল আঁচড়ানোর ব্রাশ বা চিরুনিগুলি বছরে অন্তত এক বার বদলে ফেলা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy