পুরনো শাড়ি কেটে নতুন ধারার কী কী পোশাক বানাতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
মায়েদের অনেক পুরনো শাড়ি থাকে, যা আর পরার মতো অবস্থায় থাকে না। আলমারিতে পড়েই থাকে। সে সব শাড়ি কাউকে দিয়ে দিতেও মন চায় না। মায়ের গন্ধ মাখা সেই সব শাড়ি নষ্ট না করে বরং তা দিয়েই বানানো যেতে পারে নিত্যনতুন পোশাক। এখন তো পুরনো শাড়ি পুনর্ব্যবহার করাই চল। আলিয়া ভট্ট, করিনা কপূর, ম্রুণাল ঠাকুর থেকে শুরু করে জাহ্নবী কপূর— মায়ের পুরনো শাড়ি পরেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। শাড়ি থেকে স্কার্ট, শর্ট কুর্তা এবং টপ তো বানাতে পারেনই। নতুন ডিজাইনের সাবেকি পোশাকও বানানো যেতে পারে। বেনারসি শাড়ি থেকে কিন্তু খুব ভাল ওড়না হয়।
লেহঙ্গা বা স্কার্ট
লেহঙ্গা বা বড় স্কার্টের উপরে শার্টের ফ্যাশন শুরু করেছিলেন পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্র। অনেক সিনেমাতেও অভিনেত্রীদের এমন পোশাকে দেখা গিয়েছে। চাইলে পুরনো সিল্কের শাড়ি কেটে শার্ট বা ক্রপ টপ বানানো যেতে পারে অনায়াসে। একই সঙ্গে লেহঙ্গা, ব্লাউজ়ও বানানো যেতে পারে। পুরনো বেনারসি বা জামদানি থাকলে, তাই দিয়ে খুব ভাল লেহঙ্গার ডিজাইন হয়ে যাবে।
গাউন
মেয়ের কাছে তার মায়ের শাড়ির মূল্য অনেক। ছোটবেলায় মায়ের শাড়ি কেটে লম্বা ঝুলের ফ্রক হয়তো অনেকেই বানিয়েছেন। জানেন তো, শাড়ি কেটে কিন্তু খুব ভাল গাউন বানানো যায়। বিশেষ করে সিল্কের শাড়ি যদি থাকে, তাই দিয়ে ভাল গাউন তৈরি হয়ে যাবে। ফুল প্রিন্টের বা ছাপা শাড়ি হলেও ক্ষতি নেই। আপনার পরনে ফ্লোরাল প্রিন্টের গাউন দেখে কেউ ধরতেই পারবে না যে শাড়ি কেটে বানানো হয়েছে।
আনারকলি
দোকান থেকে দাম দিয়ে আনারকলি তো অনেক কেনেন। আজকাল তো অনলাইন সাইটে অর্ডার দিয়ে কেনার হিড়িকও বেড়েছে। কেনা আনারকলি অনেক সময়েই ফিট করে না। হয় ঝুলে খুব লম্বা হয়ে যায়, না হলে গায়ে বড় হয়। তার থেকে পুরনো শাড়ি কেটেই বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে আনারকলি। সিফন বা জর্জেটের একটা গোটা কাপড় দিয়েই বড় ঘের দেওয়া আনারকলি তৈরি হয়ে যেতে পারে।
জমকালো ওড়না
মায়ের আলমারিতে কি চান্দেরি সিল্ক পড়ে রয়েছে? তাই দিয়েই বানিয়ে নিন ওড়না। যে কোনও জমকালো কুর্তা বা সালোয়ারের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে যাবে। পুরনো বেনারসি থাকলে তাই দিয়ে জমকালো ওড়নাও তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠান বাড়িতে ওই একটি ওড়নাই আপনার লুক বদলে দেবে।
জ্যাকেট
শাড়ির উপর লম্বা জ্যাকেট এখন অনেক মেয়েই পরছেন। কত আর দোকান থেকে কিনবেন! স্টাইলেও নতুনত্ব থাকা চাই। মায়ের পুরনো সিল্কের শাড়ি থাকলে তার অর্ধেকটা কেটেই বানিয়ে ফেলতে পারেন লম্বা জ্যাকেট। সুতির শাড়ি হলেও হবে। লম্বা ঝুলের বা হাঁটু ঝুলের সুন্দর জ্যাকেট হয়ে যাবে। যে কোনও কুর্তি অথবা জিন্স-টপের সঙ্গে পরতে পারবেন।
ট্রাউজ়ার-স্যুট
শাড়ি কেটে কিন্তু ট্রাউজ়ার-স্যুটও বানানো যেতে পারে। সঠিক রং বাছাই করে নিতে হবে। দেখে নিতে হবে কোন রঙের সঙ্গে কোন রং বেশি ভাল মানাবে। একটি বা দুটি শাড়ি বেছে নিয়ে রং মিলিয়ে বানাতে পারেন এ-লাইন কুর্তা। বেঁচে যাওয়া শাড়ির টুকরোগুলি থেকে বানিয়ে নিন মানানসই কাপড়ের গয়না।
শর্ট ড্রেস
গরমের দিনে পরার মতো ভাল ড্রেস খুঁজছেন? অনলাইন সাইটে না দেখে বরং পুরনো সুতির শাড়ি দিয়েই বানিয়ে নিন হাঁটু ঝুলের এ-লাইনার ড্রেস। দামি সুতি বা হ্যান্ডলুমের শাড়ি হলে ঘের দেওয়া শর্ট ড্রেস বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। গরমের দিনে খুবই আরামদায়ক হবে। দেখতেও ভাল লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy