রাত্রিকালীন কেশচর্চায় অনেক সময়ে গলদ থেকে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে যে কারণগুলি রয়েছে, সঠিক যত্নের অভাব তার মধ্যে অন্যতম। চুল ভাল রাখার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সেগুলি মেনে না চললে চুল মাথায় নয়, মাটিতেই থাকবে বেশি। বাজারচলতি প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা— কেশচর্চায় খামতি রাখেন না কেউই। কিন্তু তা সত্ত্বেও চুলে নিস্তেজ ভাব চলে আসে। ক্রমশ পাতলা হতে থাকে চুল। বিশেষ করে রাত্রিকালীন কেশচর্চায় অনেক সময় গলদ থেকে যায়। সেখান থেকেই চুল নষ্ট হতে শুরু করে। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
ভিজে চুলে ঘুমোনো
সকালে সময় বাঁচাতে অনেকেই রাতে শ্যাম্পু করেন। শ্যাম্পু করা মানেই চুল শুকোতে দেরি হওয়া হয়। অনেক সময়ে ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিলেও গোড়া ভিজে থাকে। শুকিয়ে গিয়েছে ভেবে অনেকে ভেজা চুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। আর সেখান থেকেই চুল ঝরা শুরু হয়। তাই রাতে শ্যাম্পু না করাই ভাল। যদি করেন, তবে ভাল করে মুছে নেওয়া জরুরি।
বাজারচলতি তেলের ব্যবহার
সকালে শ্যাম্পু করবেন বলে আগের রাতে চুলে তেল মাখেন অনেকেই। চুলে তেল মাখার অভ্যাস অত্যন্ত ভাল। এতে ভাল থাকে চুল। তবে বাজারচলতি তেলের চেয়ে চুলের যত্নে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। অ্যালো ভেরা, কারিপাতা, মেথি, কালোজিরে, লবঙ্গ ফুটিয়ে ঘরোয়া উপায়েই তেল বানানো যায়। সারা রাত চুলে তেল মেখে রাখলেও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চুল ভাল থাকবে। তবে দোকানে যে তেল কিনতে পাওয়া য়ায়, তাতে অনেক কৃত্রিম উপাদান মেশানো থাকে। চুলে মাখলে স্বাভাবিক ভাবেই সুফল কিছু পাওয়া যায় না।
চুলে চিরুনি না দেওয়া
সারা দিন পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরতেই ঘুমে দু’চোখ জড়িয়ে আসে। চুল না আঁচড়েই ঘুমিয়ে প়ড়েন। এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। চুল যত বার আঁচড়াবেন, ততই মাথার ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি থেকে প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন হবে। এতে চুল বাড়বে দ্রুত। তবে প্রয়োজনের বেশি চুল না আঁচড়ানোই ভাল। এতে আবার চুল ঔজ্জ্বল্য হারায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy