ব্রণ তাড়াতে কোন খাবারগুলি খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
ব্রণ যাঁদের বারো মাসের সঙ্গী, গ্রীষ্মকাল এলেই তাঁদের বুকের মধ্যে ধুকপুকুনি বেড়ে যায়। গরমেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ব্রণর সমস্যা। গ্রীষ্মের রোদ পেয়ে বাঁধনছাড়া হয়ে ওঠে অবাধ্য ব্রণরা। সারা মুখে ছ়ড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। বাদ যায় না মুখের কোনও অংশ। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক হলে তো আরও মুশকিল। গোটা মরসুম কেটে যায় ব্রণ তাড়ানোর অভিযানে। ঘরোয়া টোটকা থেকে নামীদামি সংস্থার প্রসাধনী— ব্রণর সঙ্গে লড়াই করতে নানা হাতিয়ার ওঠে হাতে। তবু ব্রণর কাছে পরাজিত হতে হয়। তবে এ বছর ব্রণর সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হতে চাইলে যত্নের পদ্ধতিতে বদল আনতে হবে। বাইরে থেকে উদয়াস্ত ত্বকের খেয়াল রাখলে হবে না। খাওয়াদাওয়াতেও পরিবর্তন আনা জরুরি। কী খেলে ব্রণ কমবে, তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। কিন্তু কোনগুলি খাওয়া বন্ধ করে দিলে ব্রণর হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে, সেগুলি জানেন কি?
প্রোটিন পাউডার
ভিতর থেকে শরীরের জোর বাড়াতে এবং চাঙ্গা রাখতে অনেকেই প্রোটিন পাউডারের উপর ভরসা রাখেন। অনেকেরই রোজের ডায়েটে এটা থাকে। প্রোটিন পাউডার শরীরের যত্ন নেয় ঠিকই, কিন্তু ব্রণর কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই ব্রণ হওয়ার প্রবণতা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রোটিন পাউডার না খাওয়াই ভাল।
দারচিনি
ওজন ঝরাতে দারচিনির জুড়ি মেলা ভার। অনেকেই রোগা হবেন ভেবে রোজের ডায়েটে দারচিনি রাখেন। এতে ওজন কমানো সহজ হলেও, ব্রণ দেখা দিতে পারে। তাই রোগা হওয়ার জন্য নিয়মিত দারচিনি যাঁরা খাচ্ছেন, খেয়াল করে দেখুন ব্রণ বেরোচ্ছে কি না। তেমন হলে কিছু দিন খাওয়া বন্ধ রেখে, আবার শুরু করতে পারেন।
চকোলেট
সঙ্গী ভালবেসে হাতে চকোলেট দিলেও আবেগের বশে খেয়ে ফেলবেন না। চকোলেট কিন্তু ব্রণর সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। চকোলেটে চিনির পরিমাণ বেশি। আর ব্রণ হওয়া অন্যতম কারণ হল চিনি খাওয়া। তাই গরমে অন্তত চকোলেট থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
দুধ
ভিতর থেকে চাঙ্গা থাকতে দুধ খাওয়া জরুরি। তবে ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে গরমে দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিন। দুগ্ধজাত খাবার শরীরে শর্করা উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ব্রণও বাড়তে থাকে। ব্রণর হাত মুক্তি পেতে চিকিৎসকেরাও দুধ খেতে বারণ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy