এগজ়িমা থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।
এগজ়িমা ত্বকের খুবই পরিচিত একটি অসুখ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম ‘অ্যাটপিক ডার্মাইটিস’। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়া এগজ়িমার অন্যতম লক্ষণ। জিনগত এবং পরিবেশগত নানা কারণেই এই অসুখ হয়। বাবা কিংবা মায়ের মধ্যে কারও এগজ়িমার সমস্যা থাকলে, সন্তানেরও এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এ ছাড়া সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, ডিজ়ইনফেকট্যান্ট থেকে হওয়া অ্যালার্জি এগজ়িমায় গড়াতে পারে। ধুলো, কোনও পোকামাকড়, পোষ্য, ফুলের রেণুর কারণেও এই রোগ হতে পারে।
ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাকের সংক্রমণ এই রোগের অন্যতম কারণ। অনেকের দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, বাদামজাতীয় তৈলবীজ, সয়াবিন, আটা-ময়দার খাবার, রেডমিট, মাশরুম সহ্য হয় না। এই সব খাবারও অনেক ক্ষেত্রে এগজ়িমার ঝুঁকি বাড়ায়। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, এ কারণেও এগজ়িমা হতে পারে। সঠিক চিকিৎসায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একেবারেই সেরে যায় এই রোগটি। তবে ধৈর্যের সঙ্গে চিকিৎসার প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যেতে হবে। ওষুধের পাশাপাশি কী ভাবে ত্বকের যত্ন নিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন?
১) সারা বছর ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করার অভ্যাস করুন। স্নান করার পর বেশি ক্ষণ ভেজা গায়ে না থেকে ভাল করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
২) এগজ়িমা থাকলে এক জামা দু’দিনের বেশি পরবেন না। রোজ ধোয়া জামা পরলে আরও ভাল। নিয়মিত ধোয়া অন্তর্বাস পরুন।
৩) অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। খেয়াল রাখতে হবে, সাবান যেন মৃদু প্রকৃতির হয়।
৪) নারকেল তেল, অ্যালো ভেরা জেল অথবা অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহারেও উপকার পাবেন। এগুলি সারা গায়ে, বিশেষ করে আক্রান্ত স্থানগুলিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫) ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ারের মতো প্রসাধন সামগ্রীগুলি ফ্রিজে রাখুন। সেগুলি গায়ে মাখলে আরাম পাবেন। সাধারণ র্যাশ, চুলকানি হলে সেটা কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়, তবে দীর্ঘ দিন ত্বকের সমস্যা কমতে না চাইলে এগজ়িমার বিষয়ে সতর্ক হোন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy