তেল, শ্যাম্পু, মাস্ক এবং সিরামের পাশাপাশি চুলের যত্নে এখন নতুন সংযোজন হল চিরুনি। আগে গরু বা মোষের শিং দিয়ে তৈরি চিরুনি ব্যবহার করার চল ছিল। তবে কম দাম , সহজলভ্যতা এবং ব্যবহারের সুবিধার জন্য এখন প্লাস্টিকের চিরুনিই সযত্নে মাথায় তুলে নেন অনেকে। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলের স্বাস্থ্যের কথাই যদি বলতে হয়, তা হলে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করাই ভাল। বাজারে হরেক রকম কাঠের চিরুনি কিনতে পাওয়া যায়। তবে নিমকাঠের চিরুনি সব দিক থেকে নিরাপদ।
আরও পড়ুন:
নিমকাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে কী উপকার হবে?
১) খুশকির সমস্যা দূর করে:
চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু হল খুশকি। শীতকালে এই সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। খুশকি বা মৃত কোষ— সবই জমে মাথার তালুতে। প্লাস্টিক বা প্রাণীর শিং দিয়ে তৈরি চিরুনি ব্যবহার করলে মাথা আঁচড়ানোর সময়ে মৃত কোষের সঙ্গে প্রচুর চুলও উঠে আসতে থাকে। কিন্তু নিমকাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা হয় না।
২) মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে:
ভাল চুলের গোপন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মাথার ত্বকে। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভাল না হলে চুল কোনও ভাবেই পুষ্টি পাবে না। নিমকাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে সামগ্রিক ভাবে মাথার ত্বক ভাল থাকে।
৩) পরজীবীদের আক্রমণ রুখে দেয়:
ছোটদের মাথায় উকুন বাসা বাঁধে সহজেই। এই পরজীবীরা আবার তিতকুটে জিনিস একেবারে সহ্য করতে পারে না। তাই শিশুদের মাথা আঁচড়াতে নিমকাঠের চিরুনি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
৪) নতুন চুল গজায়
কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। চুলের ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয়। নিমকাঠ অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল। তাই স্ক্যাল্পে ছত্রাকঘটিত কোনও সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। এ ছাড়া মাথার ত্বকে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিমকাঠের চিরুনি।
৫) চুল পড়া রুখে দেয়
জট পড়া চুলে চিরুনি চালালে চুল ছিঁড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। বিশেষ করে প্লাস্টিক বা ধাতুর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে যে স্থিরতড়িৎ উৎপন্ন হয়, তাতে চুল ছিঁড়ে ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এমন সমস্যা হয় না।