চিয়া দিয়ে ত্বকের চর্চা। ছবি- সংগৃহীত
ক্যালশিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর চিয়া বীজ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল সে কথা এত দিনে প্রায় সকলেই জেনে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য সচেতন যাঁরা, তাঁরা অনেকেই সকালে খালি পেটে জলে ভিজিয়ে চিয়া বীজ খান। অনেকে আবার সরবৎ, স্মুদি বা বিভিন্ন খাবারেও চিয়া বীজ ব্যবহার করেন।রূপচর্চা বিশেষজ্ঞরা আবার শ্যাম্পুর পর রাসায়নিকযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার না করে চিয়া বীজ ভেজান জলে চুল ধুতে পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই চিয়া বীজ যে স্পর্শকাতর ত্বকের ‘মহাঔষধ’ তা জানতেন?
ত্বকের যত্নে চিয়া বীজ কী কী ভাবে কাজ করে?
১) ত্বক আর্দ্র রাখতে
স্পর্শকাতর ত্বকের যে কোনও সমস্যার সমাধানে চিয়া বীজ অব্যর্থ। মুখে র্যাশ বেরোনোর ভয়ে যাঁরা মুখে কিছু মাখতে পারেন না, তাঁদের ত্বকে আর্দ্রতার অভাব দেখা যায়। রাসায়নিকযুক্ত ময়েশ্চারাইজারের বদলে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন চিয়া বীজের উপর। বাড়িতে অ্যালো ভেরা জেল না থাকলে তার বদলে চিয়া বীজ দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতেই পারেন।
২) প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর
রাসায়নিক এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করলে, ত্বকে র্যাশ, ব্রণ, লাল হয়ে যাওয়ার মতো নানা রকম সমস্যা হতে পারে। সেই সবের বদলে চিয়া বীজ ব্যবহার করাই যায়। বাজারজাত এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করলে অনেক সময়ই ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। চিয়া বীজের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
৩) ব্রণর সমস্যায়
চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক এবং অন্যান্য খনিজ থাকায়, তা ব্রণর সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে। এ ছাড়াও চিয়া বীজ খেলে, ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তৈলাক্ত ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
৪) বলিরেখা দূর করে
ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ঠিক থাকলে, চট করে ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয় না। চিয়া বীজের মধ্যে জলীয় উপাদান বেশি থাকায়, বয়সের জন্য ত্বকে যে আর্দ্রতার অভাব হয়, তা পূরণ হয়ে যায়।
৫) ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে
ভিটামিন এ, সি, আয়রন, পটাসিয়াম এবং বিভিন্ন খনিজে সমৃদ্ধ চিয়া বীজ ত্বকের ‘ইলাস্টিসিটি’ বা স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে। ভিতর থেকে ত্বককে চকচকে করে তোলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy