শাড়ি পরতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁরা নিজের সংগ্রহে নানা রকমের শাড়ি রাখতে পছন্দ করেন। ছবি: সংগৃহীত
সামনে পুরো শীতকাল জুড়েই অগুনতি বিয়েবাড়ি। সারা বছর যত পোশাকই কিনুন না কেন, বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগে আলমারি খুললে চোখ সেই শাড়ির দিকেই আটকে যায়। শাড়ি পরতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁরা নিজের সংগ্রহে নানা রকমের শাড়ি রাখতে পছন্দ করেন। সারা শহর ঘুরে ঘুরে কোন দোকানে কোন শাড়ি ভাল পাওয়া যায়, তার খবর রাখেন শাড়ি জহুরিরা। কিন্তু যে শাড়ি কিনছেন, তা কোন রাজ্যের, কী ভাবে তৈরি করা হয় সে সব জানেন কি?
পাঁচ রাজ্যের শাড়ি যা সংগ্রহে না রাখলেই নয়, রইল তার বিবরণ।
১) উত্তরপ্রদেশের বেনারসি
বিয়ের কনে থেকে কনের মাসি, সকলেরই পছন্দের বেনারসি। নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই শাড়ির সঙ্গে বেনারসের নাম জড়িয়ে আছে। মসৃণ সিল্কের উপর সোনালি, রুপোলি জরির কাজই বেনারসি শাড়ির বিশেষত্ব। শুধু বিয়ের নয়, বিয়ের পরেও যে কোনও বয়সিরা পরতে পারেন ভারতের ঐতিহ্য বহনকারী বেনারসি শাড়ি।
২) মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি
মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি শহরের নাম অনুসারে এই শাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে। যদিও এখন বিভিন্ন মানের এবং বিভিন্ন দামের চান্দেরি শাড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আসল ভাল মানের চান্দেরি শাড়ি তৈরি করতে খুব উৎকৃষ্ট মানের সিল্ক সুতোর প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী দাম নির্ভর করে। এই শাড়ির বিশেষত্ব হল ফিনফিনে পাতলা সিল্কের উপর সোনালি বা রুপোলি জ়রির ‘ব্রোকেড’ কাজ।
৩) রাজস্থানের লেহরিয়া
রাজস্থানের সব পোশাকেই বিভিন্ন রঙের মিশেল দেখা যায়। শাড়িতেও এর অন্যথা হয় না। যাঁরা খুব রঙিন পোশাক পরতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য একেবারে আদর্শ শাড়ি এই লেহরিয়া শাড়ি। নামে নতুন হলেও এই শাড়ি তৈরির পদ্ধতি বহু পুরনো। বাঁধনির মতোই শাড়ি বেঁধে, রঙে চুবিয়ে তার পর এই শাড়ি তৈরি হয়।
৪) ওড়িশার সম্বলপুরী
যাঁরা সাবেকি শাড়ি পরতে পছন্দ করেন, তাঁদের সংগ্রহে একটি সম্বলপুরী ইক্কত শাড়ি থাকবেই। সিল্ক বা সুতি দু’ধরনের ফ্র্যাবিকেই পাওয়া যায় এই শাড়ি। ওড়িশার সম্বলপুর জেলার হাতে বোনা এই শাড়ির আবেদন চিরন্তন।
৫) তামিলনাড়ুর কাঞ্জিভরম
সাবেকি শাড়ি যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের প্রিয় দক্ষিণী সিল্ক। এই শাড়ির বিশেষত্ব হল সেখানকার মন্দিরের আদলে করা শাড়ির নকশা। শাড়ির পাড়ে ‘টেম্পল’ নকশা কাঞ্জিভরমের একটি বৈশিষ্ট্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy