Advertisement
E-Paper

ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট না টোনার, কী মাখবেন? কার ত্বকের জন্য কোনটি ভাল?

অনেকেই মনে করেন, টোনার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট একে অপরের পরিপূরক। আদতে তা নয়। কাজ এক রকম হলেও দু’টির উপাদান সম্পূর্ণ আলাদা।

ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১০:৪৪
Share
Save

কিছু বছর আগে পর্যন্ত রূপচর্চার জগতে টোনার কিংবা অ্যাস্ট্রিনজেন্টের অস্তিত্ব ছিল না। সাবান কিংবা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে সরাসরি ময়েশ্চারাইজ়ার বা ক্রিম মেখে নিলেই কাজ চলে যেত। ক্রমে দেখা গেল, ত্বকের গভীর স্তর থেকে তেল, ধুলো-ময়লা টেনে বার করে অনাতে শুধু সাবান যথেষ্ট নয়। তার জন্য আলাদা করে টোনার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট প্রয়োজন।

অনেকেই মনে করেন, টোনার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট একে অপরের পরিপূরক। আদতে তা নয়। কাজ এক রকম হলেও দু’টির উপাদান আলাদা। সব ধরনের ত্বকে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করাও যায় না। স্পর্শকাতর ত্বকে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট মাখলে বরং ত্বক জ্বালা করে, অস্বস্তি হয়। কোনটি কার জন্য উপযুক্ত তা বোঝার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন এই দু’টি প্রসাধনীর কাজ কী এবং ত্বকের কোন সমস্যায় কোনটি ব্যবহার করা যায়।

টোনার কী? ত্বকে তা কী ভাবে কাজ করে?

সাবান বা ফেসওয়াশ ছাড়াও মুখে জমা তেল, ধুলোময়লা পরিষ্কারের তো নানা রকম প্রসাধনী রয়েছে। তারই মধ্যে একটি হল টোনার। তবে এই টোনার কিন্তু ফেসওয়াশের বিকল্প নয়। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ত্বকে অনেক সময়ে টান ধরে। টোনার মাখলে সেই সমস্যা অনেকটা বশে রাখা যায়। এ ছাড়া ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও এই প্রসাধনীটি বেশ কাজের। ‘জার্নাল অফ কসমেটিক্স সায়েন্স’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নিয়ম করে মুখে টোনার মাখলে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। ত্বক সহজে রুক্ষ হয়ে পড়ে না। আবার, যাঁদের ওপেন পোরসের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও টোনার মাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বকে কোনও রকম প্রদাহজনিত অস্বস্তি হলেও তা নিরাময় করে এই প্রসাধনীটি। তবে টোনার কিন্তু ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। যদি ধরন না বুঝে ভুল টোনার ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

অ্যাস্ট্রিনজেন্ট কী? ত্বকে এই প্রসাধনীটি কী ভাবে কাজ করে?

টোনারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী হল অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাঁরা এইটি ব্যবহার করতেই পারেন। তবে এই প্রসাধনীটির মধ্যে অ্যালকোহলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই স্পর্শকাতর ত্বকে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করলে অনেক সময়েই নানা রকম অস্বস্তি দেখা যায়। ওপেন পোরসের সমস্যায় টোনারের চেয়ে অনেক গুণ বেশি কার্যকর এই অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। এ ছাড়া ত্বকের সেবাম উৎপাদনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে কিংবা ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি।

দু’টি জিনিসের কাজ তো মোটামুটি একই রকম। তা হলে একটি অন্যটির চেয়ে আলাদা কেন?

রূপচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কাজ প্রায় এক রকম হলেও টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্টের মূল উপাদান কিন্তু আলাদা। এ ছাড়া টোনার সব ধরনের ত্বকে মাখা গেলেও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট কিন্তু সকলে ব্যবহার করতে পারেন না।

ত্বকের ধরন অনুযায়ী কে কোনটি মাখবেন?

ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, কে টোনার মাখবেন আর কে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, তা নির্ভর করে ত্বকের ধরন এবং সমস্যার উপর। যাঁদের ত্বক ‘নর্মাল টু ড্রাই’ অর্থাৎ তৈলাক্ত নয়, তাঁরা নিঃসন্দেহে অ্যালকোহল-মুক্ত টোনার ব্যবহার করতে পারেন। আর যাঁদের মুখে র‌্যাশ, ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ত্বকের জন্য কার্যকর হল অ্যাস্ট্রিনজেন্ট।

Skin Care Beauty Tips

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।