বিভিন্ন ফুল ও ফল পিষে তেল তৈরি করে নেওয়া যায় বাড়িতেই। কোনও জটিল যান্ত্রিক পদ্ধতি না অনুসরণ করেই তেল তৈরি করা যায় একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায়। এমন তেলে কোনও রাসায়নিক মেশানোর প্রয়োজন পড়ে না। সবটাই হয় ‘অর্গ্যানিক’ পদ্ধতিতে। এমন তেলই চুলের জন্য ভাল ও টাক পড়ার সমস্যা দূর করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে একাধিক গবেষণায়। এই বিশেষ প্রক্রিয়াকে বলে ‘কোল্ড প্রেসড’ পদ্ধতি। যার সাহায্যে বাড়িতে নারকেল তেলও তৈরি করে নিতে পারবেন।
কোল্ড প্রেসড অয়েল আসলে কী?
ফল পিষে বা ফুলের বীজ ভেঙে তার থেকে তেল নিষ্কাশনের এক বিশেষ পদ্ধতি। এই তেল তৈরি করতে ফল বা ফুলের বীজ ফোটানোর দরকার পড়ে না। ঘরের তাপমাত্রাতেই কোনও রকম রাসায়নিক না মিশিয়ে তেল তৈরি করা হয়। মূলত ফুল বা ফলের বীজ গুঁড়িয়ে তেল বার করা হয়।
এমন তেলের কী গুণ আছে?
কোল্ড প্রেসড অয়েল বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। যে হেতু উচ্চ তাপমাত্রায় এই তেল ফোটানো হয় না এবং কোনও রকম রাসায়নিক মেশানো হয় না, তাই এই তেল সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি হবে খুব তাড়াতাড়ি। এমন তেল মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে মাথার ত্বকে প্রদাহ হতে পারে না। এই প্রদাহের কারণেই মূলত চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। টাক পড়ে যাওয়া বা ‘অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটা’-র মতো সমস্যা দূর করতে পারে এই ধরনের তেল।
আরও পড়ুন:
নারকেল থেকে বাড়িতে বানান কোল্ড প্রেসড অয়েল
৩টি বড় নারকেল ভেঙে শাঁস বার করে নিন। ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে ব্লেন্ডারে ভাল করে পিষে নিতে হবে। মিহি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এ বার সেই পিষে নেওয়া নারকেল পাতলা কাপড়ে নিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিতে হবে। যে তরল বেরোবে, তা একটি কাচের জারে নিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে ২৪-৪৮ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
৪৮ ঘণ্টা পরে দেখবেন, জারে রাখা তরলের উপর তেল ভেসে উঠেছে। সেটি নিয়ে সরাসরিও ব্যবহার করা যাবে, আবার এর সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার বা জোজোবা অয়েল মিশিয়েও মাথায় মাখা যাবে। এক বার তৈরি হলে এই তেল দু’-তিন মাস ব্যবহার করা যাবে। তবে রোদে এই তেলের শিশি না রাখাই ভাল। আর ব্যবহারের সময়ে কখনওই এই তেল গরম করবেন না।