ছবি : তব্বুর ইনস্টাগ্রাম থেকে।
‘চাঁদনি বার’ থেকে ‘হায়দর’ হয়ে ‘অন্ধা ধুন’, ‘দৃশ্যম’, ‘খুফিয়া’— পর্দায় তিনি আসা মানেই একটা টানটান ভাব। নজর সরতে চায় না। মন গল্পে আরও জুড়ে বসে। তাঁর উপস্থিতি এমনই জোরদার, যে তাঁর পরনের পোশাক, সাজগোজ ব্যক্তিত্বেরই অঙ্গ হয়ে ওঠে। অভিনেত্রী তব্বুর ফ্যাশন নিয়ে তাই বড় একটা আলোচনা হতে দেখা যায় না। কিন্তু নিউ ইয়র্কে এক ঝাঁক হলিউড তারকার মাঝে সেই তব্বুই আলাদা করে চেনালেন তাঁর ফ্যাশন বোধ।
খুব শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে তব্বুর ইংরেজি ছবি ‘ডিউন: প্রফেসি’। তার আগে নিউ ইয়র্কে ছিল ছবির প্রিমিয়ার। সেই উপলক্ষে অতিথিদের স্বাগত জানাতে রেড কার্পেটের আয়োজন করা হয়েছিল। রূপোলি জগতে যে ‘রেড কার্পেট’কে ফ্যাশনের তীর্থ ক্ষেত্র ভাবা হয়। তব্বু সেই রেড কার্পেটেই এলেন একটি কালো রঙের ‘গথিক’ গাউন পরে।
কালো রঙের ওই গাউনটি যৌথ ভাবে তৈরি করেছেন ভারতীয় ডিজ়াইনার আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলা। ফ্যাশন দুনিয়ায় দুই পোশাকশিল্পীর গত ভাঙা ভাবনা বরাবর নজর কেড়েছে। নিউ ইয়র্কেও তা ব্যর্থ হল না। তব্বুর জন্য আবু আর সন্দীপ ওই গাউন তৈরি করেছিলেন ভারতীয় অঙ্গরাখা স্টাইলে। তবে তার সঙ্গেই মিশিয়ে দিয়েছেন ইউরোপের গথিক শিল্প। যে শিল্প ‘রহস্যময়’ বলে পরিচিত। যে শিল্পে প্রাচীন যুগের ইউরোপীয় শিল্পকলার ছোঁয়া আছে।
দুই ডিজ়াইনার আবু এবং সন্দীপ জানিয়েছে, তব্বুর চরিত্র যেহেতু ওই ছবিতে রহস্যময়, সে জন্যই তাঁর জন্য ওই পোশাক নকশা করেছেন তাঁরা। পোশাকটি তৈরি করা হয়েছে খাদি রেশমের কাপড় দিয়ে। তবে সেই কাপড়কে ৩৮ বছরের পুরনো এক বিশেষ পদ্ধতিতে কুঁচকোনো হয়েছে।
কনুই পর্যন্ত ঢাকা হাত, গোড়ালি পেরিয়ে মাটিতে লুটিয়ে থাকা ঝুলের গাউনে চওড়া গলা অনেকটা গভীর এবং ছড়ানো। তব্বু অবশ্য গলায় কোনও হার পরেননি। টেনে বাঁধা চুলের সঙ্গে কানে শুধু পরেছেন কালচে পাথরের দু’টি ঝোলানো দুল। চোখে কালচে আইশ্যাডোয় আরও রহস্যময়ী হয়েছেন তব্বু। দেখে ভক্তরা বলছেন, নতুন অবতারে তব্বুকেও নতুন মনে হচ্ছে। আগের তব্বুর সঙ্গে তাঁকে মেলানো যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy