পিৎজা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
আলুভাজা দিয়ে মুড়ি মাখা, চিকেন কিমার ওমলেট, ঘুগনি— এ সবকে বিদায় জানিয়ে জেন ওয়াই আজ হাত ধরেছে পিৎজা-বার্গারের। বিকেলে হলেই ফুড ডেলিভারি অ্যাপের বোতাম টিপে বা কাছাকাছি দোকান থেকে নিয়ে আসা হয় এই সব খাবার। অ্যাপে অফার থাকলে তো পোয়া বারো। শুধু বাড়িতেই নয়, অফিসেও হঠাৎ ট্রিটগুলোতে পিৎজা খাওয়ার চল রোজই বাড়ছে। শহরের মোড়ে মোড়ে পিৎজার হাব। কিন্তু আমাদের এই নয়া অভ্যেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেল অ্যান্ড এনিড জুকেরম্যান কলেজ অফ পাবলিক হেলথ সংস্থা গবেষণায় দেখিয়েছে, হ্যামবার্গার বা পিৎজার মতো খাবার খেলে পুষ্টি কম হয়। বাড়ে ক্যানসারের মতো মারণরোগের আশঙ্কা।
কিন্তু কী ভাবে? সমীক্ষকরা দেখাচ্ছেন, পিৎজা খেলে ডিইডি বা ডায়েটারি এনার্জি ডেনসিটির পরিমাণ অনেক পরিমাণে বেড়ে যায়। সাধারণ ঘরোয়া খাবার বা শাকসবজিতে হয় এর ঠিক উল্টোটা। এই ডিইডি-কেই ক্যানসারের একটি ট্রিগার বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন, হার্ট অ্যাটাকের হানা! কোন কোন লক্ষণে হতে হবে সতর্ক? অসুখ ঠেকাবেন কী উপায়ে
শিকাগোর ইলিওনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, প্রতি দিন পাশ্চাত্যের কম বয়সী ছেলেমেয়েরা ৮৪ থেকে ২৩০ ক্যালরি অতিরিক্ত খাচ্ছে পিৎজার কল্যাণে। আমাদের রাজ্য তথা দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের বাচ্চারা, তরুণ তরুণীরাও কি খুব দূরে রয়েছে এই অভ্যেস থেকে?
আরও পড়ুন, গরমে চাঙ্গা থাকতে এনার্জি ড্রিঙ্ক? এই স্বভাব ডেকে আনছে মারাত্মক সব বিপদ
পুষ্টিবিদ অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অন্য বিপদের কথা মনে করাচ্ছেন। তাঁর মতে, “পিৎজার বেস তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। ময়দা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সে থাকা উপকরণ। অর্থাৎ এটি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে গ্লুটেন হজম করাও কঠিন। এ ছাড়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টরেলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।” অপর্ণা মনে করাচ্ছেন, ডায়াবিটিসের রাজধানী ভারতে শিশুদের মধ্যে এই রোগে (বিশেষত টাইপ ২ ডায়াবিটিস) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ক্রমে বাড়ছে।
ফলে এখনই সতর্ক না হলে সমূহ বিপদ। খাবারে ফিরিয়ে আনুন বাঙালিআনা। নিজস্বতার অহঙ্কারও থাকল, শরীরের যত্নও হল।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy