সঙ্গীকে মেসেজ করার সময় মাথায় রাখুন কিছু বিষয়। ছবি: আইস্টক।
হাতে মোবাইল থাকলেই হয় হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে গল্প, নয়তো টুকটাক টেক্সট। আর এই কাজগুলোর অনেকটাই জুড়ে আছে প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। ডেটিংয়ের যুগে ফোন পেরিয়ে মেসেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই আমরা করে ফেলি হরেক ভুল।
সদ্য শুরু করা প্রেম হোক বা কয়েক বছরের স্থায়ী সম্পর্ক, প্রেমের মেসেজেও মাথায় রাখতে হয় বেশ কিছু বিষয়। অনেকেই ভাবেন, ভালবাসার মানুষকে কিছু লিকছি মানে,যা-ই লিখি, যেটুকুই ভুলত্রুটি, তিনি তা আমল দেবেন না। বিষয়টা কিন্তু তেমন নয়। সব সম্পর্কের মতোই প্রেমজ সম্পর্কও খুব স্পর্শকাতর। ভালবাসার মানুষটির মন-মেজাজ, ব্যস্ততা এই সব কিছুই খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়। প্রেমে পড়েছেন বলেই, উল্টো দিকের মানুষটির সব ভুলত্রুটি কোনও সময়ই তাঁকে প্রভাবিত করবে না, এমন ধারণা ঠিক নয়।
তা বলে কি সারা ক্ষণ খুব সতর্ক হয়ে, মাথা খাটিয়ে আবেগের কথা বলতে হবে? না। তেমনটা একেবারেই নয়। মানুষটি আপনার জীবনে পুরনো হোক বা নতুন, মেসেজ করতে হলে শুধু মনে রাখুন বিশেষ কিছু নিয়ম। তাতে আবেগের ঘরে চুরি হবে না একেবারেই।
আরও পড়ুন: সাদা জুতো বর্ষায় নোংরা হয় সহজে, এই সব উপায়ে রাখুন ঝকঝকে
টেক্সটে হাসি-মশকরা করতেই পারেন। হালকা বা গাঢ় রসিকতাও চলে। তবে মেসেজে মানুষের মুখ দেখা যায় না, কাজেই বোঝা যায় না কথাটি বলার সময় তাঁর অভিব্যক্তি। এই কারণে অনেক সময় রসিকতার টেক্সটও ভুল বার্তা বহন করে। উল্টো দিকের মানুষটির মেজাজের উপরও নির্ভর করে ওই মুহূর্তে তিনি আদৌ ঠাট্টা বোঝার অবস্থায় আছেন কি না। তাই ফোনে এমনটা করতে চাইলে অবশ্যই সাবধান থাকুন। দরকারে ঠাট্টার ইমোজি ব্যবহার করুন। একটু খেয়াল রাখুন সময়েরও। প্রেম নতুন হোক বা পুরনো, উল্টো দিকের মানুষটার ব্যস্ততার কথা মাথায় রেখেই টেক্স করুন। তা ছাড়া কাজ না থাকলেও সারা ক্ষণ টেক্সট বা মেসেজ করে যাওয়াটা খুব একটা কাজের কথা নয়। অফিসের সময় বা কোনও ক্লাসে থাকার সময় বার বার টেক্সট করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: পোকামাকড় রুখতে ক্ষতিকর রাসায়নিক কেন? এই সব ঘরোয়া উপায়েই নিস্তার পান সহজে
সবে প্রেম শুরু করলে আরও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকুন। ইঙ্গিতপূর্ণ কথা, শারীরিক সম্পর্ক ঘেঁষা কথা, চটুল ও লঘু রসিকতা এ ক্ষেত্রে না বলাই ভাল। ভুল বানান বা ভুল বাক্যগঠনের দিকে নজর দিন। উল্টো দিকের মানুষটার কাছে আপনি যত গুরুত্বপূর্ণই হোন না কেন, ভুল বানান ও বাক্য পড়তে খুব একটা ভাল লাগে না। তাই সে দিকে নজর দিন। ভুল ইমোজি ব্যবহার করার দিকেও সচেতন হোন। নইলে বলতে চাইবেন এক রকম, বোঝাবে আর এক রকম। সঙ্গীর অপ্রিয় প্রসঙ্গ বা দ্বিধা রয়েছে এমন বিষয় নিয়ে টেক্সটে কথা বলবেন না। ওগুলো একান্তই এড়ানো না গেলে তুলে রাখুন মুখোমুখি সাক্ষাতের সময়ের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy