বিগত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে গোটা দুনিয়া। বদলে এসেছে গ্রাহকদের সামগ্রিক আচার-আচরণে। হঠাৎ করেই যেন রোজকার জীবনের অনেকখানি ঘিরে নিয়েছে অনলাইন দুনিয়া। কোভিড অতিমারির আবহে দ্রুত বদলে গিয়েছে ই-কমার্সে ব্যবসার ধরনও। সামগ্রিক ভাবে দেখতে গেলে অফলাইন ব্যবসাকে অনেকটা পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে অনলাইন কেনাকাটা। এ যেন খুচরা ব্যবসার দুনিয়ায় এক নতুন যুগের সুত্রপাত।
উপভোক্তাদের কেনাকাটার ধরনে এই বদল যে আসবে, তা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন বহু বিচক্ষণ ব্যক্তি। যদিও হঠাৎ অনলাইন কেনাকাটার জগত এত দ্রুত বদলে যাবে, তা প্রায় প্রত্যেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত ছিল। বিবিধ বিকল্প, দ্রুত পরিষেবা, সাশ্রয়ী মূল্য, নজরকাড়া অফার, ইত্যাদি সুবিধার কারণেই বহু গ্রাহক ধীরে ধীরে অনলাইন কেনাকাটার প্রতি আকর্ষিত হচ্ছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ৪০-৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ অনলাইন শপিংয়ের সাহায্যে নিজেদের চাহিদা মিটিয়েছেন। ভারতে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ।
অনলাইন শপিংয়ের প্রতি গ্রাহকদের এই ঝোঁক বহু আগেই বুঝতে পেরেছিলেন অঞ্জলি জুয়েলার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর অনর্ঘ্য উত্তীয় চৌধুরী। তাঁর নেতৃত্বেই তৈরি পথ চলা শুরু করেছিল অঞ্জলি জুয়েলার্সের অ্যাপ্লিকেশন। সংগঠিত গয়না ইন্ডাস্ট্রিতে এটিই দেশের প্রথম জুয়েলারি অ্যাপ্লিকেশন। যা এক লহমায় অঞ্জলি জুয়েলার্সকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে। শুধু অ্যাপ্লিকেশনই নয়, ধীরে ধীরে অঞ্জলির অনলাইন স্টোরেরও সম্প্রসারণ করা হয়। যদিও এই বদল কিন্তু কখনই প্রোডাক্টের সার্বিক গুণমান এবং প্রদেয় সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে আপস করেনি।
অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে প্রত্যেক গ্রাহকের আচরণেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় লক্ষ্য করা যায় — তা হল তুলনামূলক বিশ্লেষণ। গয়না হোক বা অন্য কোনও প্রোডাক্ট অনলাইনে কেনাকাটার আগে গ্রাহকেরা সাধারণত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে দেখেন। দামের পর্যালোচনা করেন। এবং তার পরেই ওই প্রোডাক্টটি কেনেন। গ্রাহকদের এহেন আচরণ আসলে আধুনিক যুগের ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি স্বাস্থ্যকর ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে। অঞ্জলি জুয়েলার্সের ভার্চুয়াল স্টোরে কেনাকাটার পরে বহু গ্রাহক তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভার্চুয়াল স্টোরে কেনার পরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সহজেই পৌঁছে গিয়েছে অত্যন্ত দামী সোনা বা হিরের গয়না। বলা বাহূল্য, প্রত্যেক ক্রেতাই পরিষেবায় খুশি। সোনা, রূপো এবং হিরে ছাড়াও অঞ্জলির ভার্চুয়াল স্টোরে রয়েছে কস্টিউম জুয়েলারি ও গ্রহ-রত্ন। তা ছাড়াও অ্যাপ ও ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকদের কেনাকাটায় উৎসাহিত করার জন্য রয়েছে গিফট ভাউচার, বিভিন্ন নকশার গহনা, প্রোমো কোড এবং আকর্ষণীয় অফার।
অফলাইন স্টোরগুলির মতো অঞ্জলি জুয়েলার্সের ভার্চুয়াল স্টোরেও রয়েছে নজরকাড়া গয়নার সম্ভার। প্রত্যেক গ্রাহকের কথা মাথায় রেখেই এই সম্ভার তৈরি করা হয়েছে। যার দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে। সেই সঙ্গে দেশ পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও সেই গয়না পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অঞ্জলির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং অ্যাপ্লিকেশনকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে গ্রাহকরা অত্যন্ত সহজেই কোনও পণ্য খুঁজে পেতে পারেন, তুলনা করতে পারেন এবং প্রয়োজনে প্রোডাক্ট অ্যাসিস্টেন্টের সঙ্গে কথা বলে অত্যন্ত সহজে পেমেন্টও করতে পারেন।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাল্টে গিয়েছে সবকিছু। ইন্টারনেটের জমানায় বিশ্ব এখন মুঠোফোনে বন্দি। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করতে অঞ্জলি জুয়েলার্স প্রতিনিয়ত পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে; সর্বোপরি সময়কে এক প্রকার পিছনে ফেলে গ্রাহকদের জন্য অনলাইনেই বিশেষ সমাধান প্রস্তুত করছে। ফলত, খুব কম সময়েই গোটা বিশ্বে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে অঞ্জলি জুয়েলার্স। গ্রাহকদের সঙ্গে যোগযোগ হয়েছে আরও সহজ। এবং সেই কারণেই ভারতীয় গয়না শিল্পের বিভাগে অঞ্জলি জুয়েলার্স অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি গ্রাহকদের অন্যতম সেরা গন্তব্য হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বাজারে সার্বিক খ্যাতি অর্জন, বিক্রয় বৃদ্ধি এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির পর্যায়ে অঞ্জলি জুয়েলার্স নিজেদেরকে মেলে ধরেছে।
এই প্রতিবেদনটি অঞ্জলি জুয়েলার্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy