—প্রতীকী চিত্র।
এক জন মানুষের চলার পথে অন্যতম শক্তি হল তাঁর চোখের দৃষ্টি। কিন্তু ‘রেটিনোব্লাসটোমা’ বা চোখের ক্যানসারের কারণে সেই আলো চিরতরে নিভে যাওয়ার ঘটনা কম নয়। কিন্তু সচেতনতা বাড়িয়ে ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করালে সেই দৃষ্টিশক্তিও বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সিদের ক্ষেত্রেই চোখের ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিকগুলি নিয়েই দু’দিনব্যাপী জাতীয় স্তরের আলোচনাসভার আয়োজন করেছে সল্টলেকের একটি বেসরকারি চক্ষু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা চক্ষু চিকিৎসকেরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরবেন। রবিবার প্রথম দিনের আলোচনাসভায় বিভিন্ন ঘটনা এবং সেগুলিকে কেন্দ্র করে ঝুঁকি ও তার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়েই হল আলোচনা। ওই চক্ষু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ‘শঙ্কর নেত্রালয়’-এর এডুকেশনাল প্রধান ও বরিষ্ঠ চিকিৎসক মহম্মদ শাহিদ আলম জানাচ্ছেন, চোখের পাতা, ভিতরে এবং মণির পিছনে থাকা অরবিটে টিউমার দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলিতে ক্যানসার ধরা পড়ে। শিশু ও বয়স্ক, উভয় বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়।
আলোচনাসভায় উঠে এল, চোখের পাতার উপরে থাকা ক্যানসার আক্রান্ত টিউমার বাদ দিয়ে কী ভাবে তা পুর্নগঠন করা সম্ভব— সেই বিষয়টি। আবার চোখের ভিতরে থাকা টিউমারের কারণে দৃষ্টি ক্রমশ ঝাপসা হওয়ার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই রোগী ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মতো ঝলকানি উপলব্ধি করেন। সে ক্ষেত্রে কেমোথেরাপির উপযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়। শাহিদ বলেন, ‘‘মণির পিছনের দিকের টিউমারের কারণেও দৃষ্টি কমতে থাকে। মণিটি ঠেলে বাইরে বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়। চোখটি বাঁচিয়ে রাখতে গেলে অস্ত্রোপচার করেই ক্যানসার আক্রান্ত টিউমারটি বাদ দিতে হয়।’’ উপস্থিত চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খালি চোখে থাকার ফলে অত্যধিক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা, ঠিক মতো চোখের পরিচর্যা না করা এবং জিনগত কারণেও চোখের ওই সমস্ত ক্যানসার হতে পারে। তাই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা-সহ চোখ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির দিকেও জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy