প্রথাগত চিকিৎসা ছাড়াও তাই নানা রকম টোটকাও মেনে চলতেন দেবিনা। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেতা গুরমিত চৌধুরী এবং দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বছরই নতুন বাবা-মা হয়েছেন। আইভিএফ-এর মাধ্যমে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন দেবিনা। কিন্তু মা হওয়ার পথটা তাঁর সহজ ছিল না। বহু সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার সময়ে তাঁকে কোন কোন জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বহু দিন ধরেই পিসিওডির সমস্যা ছিল দেবিনার। পরবর্তী সময়ে তাঁর এন্ড্রোমেট্রোসিস এবং অ্যাডিনোমায়োসিসের মতো জটিলতাও ধরা পড়ে। সাধারণত এই ধরনের রোগ মা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেবিনারও তাই হয়েছিল।
প্রথাগত চিকিৎসা ছাড়াও তাই নানা রকম টোটকাও মেনে চলতেন দেবিনা। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে এ বিষয়ে এক বিস্তারিত ভিডিয়ো করেছেন তিনি। দেবিনা জানিয়েছেন, মন শান্ত করার জন্য তিনি অনেক কিছু চেষ্টা করেছিলেন। কারণ মানসিক চাপ অতিরিক্ত হলেও অন্তঃসত্ত্বা হতে সমস্যা হয়। প্রথমেই তিনি এক জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী হাতের সব আংটি বাতিল করে দিয়ে একমুখী রুদ্রাক্ষের আংটি পরেছিলেন। তার পর তিনি অ্যাকুপাংচারের সাহায্য নেন। ‘কাপিং’ পদ্ধতিতে শরীরের সব বিষাক্ত পদার্থ বার করেন তিনি। পাশাপাশি বাড়িতে আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি পুজোও করেছিলেন। নিজেও শিখেছিলেন কিছু মন্ত্র। প্রত্যেক দিন সন্ধেবেলা এই মন্ত্র পড়ে ধ্যান করতেন দেবিনা।
দেবিনা অবশ্য জানিয়েছেন, এত কিছুর সঙ্গে তাঁর মা হওয়ার সরাসরি কতটা যোগ ছিল, তা তিনি জানেন না। কিন্তু এই সব কিছু করে তাঁর মন শান্ত হয়। ইতিবাচক চিন্তায় ভরে যায় তাঁর জীবন। এবং সেই ইতিবাচক চিন্তাই তাঁকে মা হতে সাহায্য করেছে।
পুজোআচ্চা-আংটি-অ্যাকুপাংচার ছাড়াও তিনি ফ্লাওয়ার থেরাপিও করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে কিছু ফুলের মধু শরীরে নিতে হয় কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে। মূলত ইতিবাচক চিন্তাধারা তৈরি করার জন্যেই এই অন্য ধারার চিকিৎসা। এ ছাড়াও দেবিনা বাড়ি থেকে প্লাস্টিকের সব পাত্র বাদ দিয়ে কাচের পাত্র নিয়ে আসেন। টেফ্লন কোটিং দেওয়া বাসন বদলে কাস্ট আয়রনের বাসন কেনেন। যাতে কোনও প্লাস্টিক বা অন্য ক্ষতিকর দ্রব্যের সংস্পর্শে না আসেন, তা নিশ্চিত করেছিলেন দেবিনা। এমনকি, রূপটান প্রসাধনী বাছার আগেও তিনি সতর্ক থাকতেন।
দেবিনা অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এত কিছু করেছেন মানেই যে বাকিদেরও একই জিনিস করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বরং হাসিখুশি থাকলে এবং মনে ইতিবাচক চিন্তা থাকলে সবই সম্ভব। তাই যাঁর যা করে মন শান্ত হয়, তা-ই করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy