শ্রদ্ধা-হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে কী বললেন আন্তোনিও? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রতি ১১ মিনিটে এক জন মহিলা বা মেয়েকে তাঁর সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেন, এমটাই দাবি করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। তাঁর মতে, মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা সবচেয়ে বড় ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকারকে তিনি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আরও কঠিন আইন নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
এই মূহূর্ত ভারতের সংবাদমাধ্যমে সবচেয়ে চর্চিত শ্রদ্ধা-হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আন্তোনিও বলেন, ‘‘কোভিড ১৯, অর্থনেতিক চাপ ইত্যাদি নানাবিধ কারণে মহিলারা বেশি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য থেকে শুরু করে শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানি থেকে ছবির অপব্যবহার— নানা ভাবে অনলাইনে হিংসার সম্মুখীন হন মহিলারা। এই বিদ্বেষের কারণে মহিলারা অনেক ক্ষেত্রেই জীবনের নানা পর্যায় পিছু পা হটেন। অথচ বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য কিন্তু নারী স্বাধীনতা ও তাঁদের মৌলিক অধিকারগুলিকে আরও বেশি করে সম্মান দিতে হবে।’’
আন্তোনিও আরও বলেন, ‘‘মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হিংসার ইতি টানতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে জাতীয় সরকারকে এই মোকাবেলায় যত দ্রুত সম্ভব নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। সেই পরিকল্পনাগুলিকে বাস্তবায়ন করতে আইনে কিছু বদলও করতে হবে। এবং ওই আইনগুলি আদৌ কাজে আসছে কি না, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। ’’
২০২৬ সালের মধ্যে নারী সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ টাকা প্রত্যেকটি দেশকেই ৫০ শতাংশ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
খুনের পর শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালা বলে অভিযোগ। দিল্লির এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের চর্চা এখন দেশ ছেড়ে বিশ্বের দরবারেও চর্চার বিষয় হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy