করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করে কি হলুদ? ছবি: সংগৃহীত
ছেড়েছো তো অনেক কিছুই। পুরনো অভ্যাস? যেমন সকালে উঠে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়া। কিন্তু ফিরিয়ে আনুন।
খালি পেটে এক কুচি কাঁচা হলুদের এখনও বিকল্প নেই। রক্ত পরিষ্কার রাখে। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে কী ভাবে খাবেন? আখের গুড় দিয়ে, না কি দুধের সঙ্গে? ঝাঁঝালো স্বাদের এই বস্তুটির স্বাদ বাড়াতে সঙ্গে কিছু প্রয়োজন পড়েই।
কিন্তু করোনাকালে সেই অভ্যাস ফিরিয়ে আনার ধুম পড়ল কেন? বাজারে হলুদের দাম বেড়ে গেল, শুরু হল আকাল৷ এতদিন তো হলুদ না খেয়ে বেশ চলছিল৷ তবে কি করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তার কোনও যোগ পাওয়া গিয়েছে? সে কি করোনা ঠেকায়?
ঠিক তেমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। হলুদ সরাসরি করোনা ঠেকায় না। তবে যে উপদানটির জন্য হলুদের এত নাম-ডাক, সেই কারকিউমিন শরীরে রোগের প্রবণতা কমায়৷ রক্ত চলাচল বাড়ে৷ হলুদের জীবাণু নাশক গুণও আছে৷ সবে মিলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অতএব করোনার সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে, সকালে খালিপেটে কাঁচা হলুদ খাওয়া ভাল বলেই জানালেন চিকিৎসক দেবাশিস ঘোষ।
গুড় দিয়ে না দুধে মিশিয়ে?
চিকিৎসক বলছেন, দুধ দিয়েই খেতে হবে হলুদ। কারণ হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিনকে পুরোদস্তুর কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করে দুধ৷ ঘন দুধ, যাতে সর পড়ে, তার সঙ্গেই খেতে হবে কাঁচা হলুদ। কারণ, জল বা গুড়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে কারকিউমিনের অনেকটা শোষিত হয় না৷ সে জন্যই মালাই দুধের আগমন৷ দুধের স্নেহ পদার্থ থাকে। তার সঙ্গে মিশে কারকিউমিনের ক্ষমতা বাড়ে। ফলে দুধেপ সঙ্গে হলুদ খেলে উপকার বেশি৷
আরও এক ভাবে খাওয়া যায় হলুদ। গোলমরিচের সঙ্গে বেটে৷ কারণ, গোলমরিচে আছে পিপারিন। তা কারমিউমিনের কার্যক্ষমতা প্রায় ২০০০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়৷
গুঁড়ো হলুদ খাওয়া যায়?
গুঁড়ো হলুদ একেবারেই নয়৷ কারণ, এতে ভেজাল হিসেবে থাকতে পারে বিষাক্ত মেটালিন হলুদ রং, বার্লি, ময়দা ইত্যাদি৷ ফলে কাঁচা হলুদই খেতে হবে। ব্যবহার করার আগে ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তার পরে তা শুকিয়ে নিয়ে টুরকো করেও খাওয়া যায়, অথবা বেটে নেওয়া যায়।
দিনে কতটা?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৫০০-১০০০ হলুদ খখেলে ভাল। তবে এক বারে ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদই যথেষ্ট। সকালে ও রাতে দু’বেলা ২৫০ মিলিগ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালিপেটে হলুদ খেয়ে নিতে হবে। তার পরে অন্তত আধ ঘণ্টা কিছু না খেয়ে থাকতে পারলে শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল। রাতে ঘুমোনোর আগে হলুদ-দুধ খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন যেন বেশি না খেয়ে ফেলেন। তাতে ক্ষতি হতে পারে।
বেশি হলুদের কী ক্ষতি?
হলুদ রক্ত পাতলা রাখে বলে গর্ভাবস্থায় খুব বেশি না খাওয়াই ভাল৷ যাঁদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে, তাঁরাও খাবেন রয়েসয়ে৷ কারণ, হলুদে ২ শতাংশ অক্সালেট আছে। যার প্রভাবে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy