সাধারণত ক্যাপসিকাম খাওয়া হয় বিভিন্ন খাবারের স্বাদবর্ধক হিসাবে। যেমন টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকামও কতকটা সেই রকম। বিভিন্ন রান্নায় নিজস্ব গন্ধ আর স্বাদ যোগ করে রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলে ক্যাপসিকাম। কিন্তু শুধু ক্যাপসিকামকেই সব্জি হিসাবে ব্যবহার করে রান্না করলে কেমন হয়? সেই প্রশ্নের জবাব হল দই ক্যাপসিকাম।
দই ক্যাপসিকাম রান্নায় ক্যাপসিকাম আর ‘সাইড রোল’-এ নয়। এ রান্নায় ক্যাপসিকামই একমাত্র স্টার। বাঙালি মশলা পাঁচফোড়ন, জিরে, আদা-লঙ্কা সহযোগে দই দিয়ে তৈরি রান্নাটি এক বার খেলে দ্বিতীয় বারও খেতে ইচ্ছে করবে।
কী ভাবে বানাবেন?
বানানো অত্যন্ত সহজ। বড়জোর মিনিট ২০ লাগবে রান্নাটি হতে। বাটাবাটি বা গুচ্ছের সব্জি কোটাকুটির ঝক্কি নেই। শুধু পর পর মশলা কড়ায় ছড়িয়ে দিলেই হল।
আরও পড়ুন:
উপকরণ:
৩টি মাঝারি মাপের ক্যাপসিকাম
২ টেবিল চামচ টক দই
১ টেবিল চামচ সাদা তেল
১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন
৩টি কাঁচালঙ্কা
২ গাঁট মাপের আদার টুকরো
১ চা-চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ চা-চামচ জিরেগুঁড়ো
১/২ চা-চামচ ধনেগুঁড়ো
২ টেবিল চামচ চিনে বাদামের গুঁড়ো
স্বাদমতো নুন
সামান্য চিনি
১/২ চা-চামচ গরমমশলা গুঁড়ো
১/২ চা-চামচ কসুরি মেথি
আরও পড়ুন:
প্রণালী
ক্যাপসিকাম লম্বাটে টুকরোয় কেটে নিতে হবে। এক একটি টুকরো হবে অন্তত আঙুলের দু’গাট দৈর্ঘ্যের। আদা এবং লঙ্কাও থেঁতো করে নিতে হবে।
এ বার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন, থেঁতো করা আদা-লঙ্কা এবং কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে খানিক ক্ষণ নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন ক্যাপসিকামের টুকরো। ভাল করে ভাজতে থাকুন কিন্তু নুন দেবেন না। নুন দিল ক্যাপসিকাম নরম হয়ে যাবে, খেতে ভাল লাগবে না।
ক্যাপসিকাম ভাজা ভাজা হলে তাতে দিন জিরে এবং ধনেগুঁড়ো। আরও খানিক ক্ষণ ভেজে বাদামের গুঁড়ো, নুন দিয়ে ক্যাপসিকামগুলোকে মাখিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেলে দিন দই। দই দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুন্তি চালিয়ে দই, ক্যাপসিকাম আর মশলা ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে দিন চিনি।
বেশ খানিক ক্ষণ রান্না হতে দিয়ে আবার তেল ছাড়লে উপরে ছড়িয়ে দিন গরমমশলা এবং কসুরি মেথি। আঁচ বন্ধ করে চাপা দিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। তার পরে রুটি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।