কর্মীদের বয়সের ভিত্তিতে মতামতের কিছু পার্থক্যও দেখা গিয়েছে। —ফাইল চিত্র।
কর্মজীবন কি ব্যক্তিগত জীবনেও কামড় বসাচ্ছে! সমীক্ষা বলছে ছোট খাট কামড় নয়, কর্মজীবন একরকম গিলেই খাচ্ছে কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনকে। শুধু ভারতেই ৮৮ শতাংশ পেশাদারকে তাঁদের কাজের সময়ের বাইরেও নিয়মিত যোগাযোগ করা হয় অফিস থেকে। অর্থাৎ অফিসের বাইরে গিয়েও অফিসের ভাবনা থেকে মুক্তি পান না তাঁরা। ওই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে ভারতের ৮৫ শতাংশ কর্মীকে ছুটির দিনেও অফিসের ডাকে সাড়া দিতে হয়। সেই ছুটি বেড়ানোর জন্য বা অসুস্থতার জন্য হলেও! সমীক্ষাটি বলছে অফিসের এই আচরণে কর্মীদের ৯০ শতাংশই খুশি নয়।
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫০০ জন কর্মচারী, ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থী এবং ৫০০ জন নিয়োগকারীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন কর্মীই জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন, অফিস থেকে বেরনোর পরে তাঁদের অফিসের ফোন না ধরার বা অফিসের কোনও কাজে মাথা না ঘামানোর অধিকার দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে ৭৯ শতাংশ কর্মী এ-ও মনে করেন যে, যদি তাঁরা ওই ফোন না ধরেন, তবে তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির ক্ষেত্রে।
তবে কর্মীদের বয়সের ভিত্তিতে মতামতের কিছু পার্থক্যও দেখা গিয়েছে। মধ্যবয়সি কর্মচারীরা আবার মনে করেন, কাজের সময়ের বাইরে যদি তাঁদেরকে যোগাযোগ করা হয়, তবে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ৪৫-৫৫ বছর বয়সিদের ৮৮ শতাংশেরই মনোভাব তাই। অন্য দিকে, নয়া প্রজন্মের কর্মীদের ৬৩ শতাংশ মনে করেন, অফিস যদি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্ব না বোঝে, তবে তারা কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাববে।
তবে কাজের বাইরে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার যে কুপ্রভাব থাকতে পারে তা বুঝতে শুরু করেছেন সংস্থার কর্তৃপক্ষও। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮১ শতাংশ নিয়োগকারী মনে করছেন, ‘‘কাজের সময়ের বাইরে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অভ্যাসের জন্য তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান কর্মীদের হারাতে পারেন।’’ তবে ৬৬ শতাংশ নিয়োগকারী এ-ও মনে করেন যে, কাজের সময়ের বাইরে কাজ নিয়ে যোগাযোগে না থাকলে কর্মীদের কাজের মান পড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy