৭ খুদের প্রাণ বাঁচাল ১৪-র কিশোর। —প্রতীকী ছবি।
সাত বছরের খুদে আক্রান্ত হয়েছিল কার্ডিয়োমায়োপ্যাথিতে। তার উপর হার্ট ফেলিয়োর বাঁচার আশা আরও ক্ষীণ করে তুলেছিল। চিকিৎসকেরা আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। হঠাৎ ৭ বছরের মেয়েটিকে নতুন জীবন দিতে এগিয়ে এল বছর ১৪-র এক কিশোরের পরিবার। বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় গ্রিন করিডর করে ১৩ মিনিটে, ১৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এল হৃদ্যন্ত্র। নতুন জীবন পেল খুদে।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই খুদে হঠাৎ এক দিন বুকে চাপ অনুভব করে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, তার হৃদ্যন্ত্রের পাম্প করার ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। হৃদ্স্পন্দনের হারও কম। বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু তার মাঝেই এক দিন ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয় শিশুটির। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে, চিকিৎসকেরা প্রায় হাল ছেড়েই দিতে বসেছিলেন। ‘ডায়ালেটেড কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’তে আক্রান্ত ওই শিশুটিকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় হল হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপন। তবে এই ধরনের চিকিৎসায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বাচ্চাটির ওজন এবং রক্তের গ্রুপ। ১৭ কিলোগ্রাম ওজন নিয়ে এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার করা ঝুঁকির। তার উপর শিশুটির বিরল রক্তের গ্রুপ নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু প্রতিস্থাপন করতে চাইলেই তো আর করা যায় না। গ্রহীতার সঙ্গে মানানসই দাতার খোঁজ পাওয়াও কঠিন। ঠিক সেই সময়েই ঘটল অত্যাশ্চর্য ঘটনা! শহরের অন্য একটি হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় ১৪ বছরের এক কিশোরের। তৎক্ষণাৎ তার পরিবার হৃদ্যন্ত্রটি দান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপন করায় নতুন জীবন পেল সাত বছরের মেয়েটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy