হাসপাতালে সদ্যোজাত-সহ প্রসূতিদের রাখার অব্যবস্থা নিয়ে শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন সদ্যোজাত শিশুর পরিবারের লোকেরা।
কয়েক মাস আগে থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক জেলা হাসপাতালের পোস্ট নেটাল (সদ্যোজাত-সহ প্রসূতি) বিভাগ ও মেডিক্যাল (পুরুষ) বিভাগে সংস্কার কাজ চলছে। তাই হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি শিশুদের পাশাপাশি রাখা হচ্ছে সদ্যোজাত-সহ প্রসূতিদের। আর মেডিক্যাল (পুরুষ) বিভাগের রোগীদের রাখা হচ্ছে সার্জিক্যাল (পুরুষ) বিভাগে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জেলা হাসপাতালের একটি ঘরে প্রায় একশোর বেশি সদ্যোজাত ও প্রসূতিদের রাখা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে শিশু ও প্রসূতিদের নাজেহাল অবস্থা। হাসপাতালের মধ্যে ন্যূনতম পরিষেবারও অভাব রয়েছে।
জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার স্বপনকুমার ভৌমিক বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের একাংশ ও মেডিক্যাল (পুরুষ) বিভাগে সংস্কারের কাজ চলছে। সমস্যা মেটাতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।” হাসপাতাল কর্মীদের অভিযোগ, গত বছর পুজোর আগে থেকে হাসপাতালের ওই দুই বিভাগে সংস্কারের কাজ চলছে। এখনও কাজ শেষ না হওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। সদ্যোজাত শিশুদের পরিবারের লোকেরা শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতালে গত বুধবার থেকে ভর্তি থাকা প্রসূতি নরঘাটের তাপসী দাস, ভগবানপুরের রিঙ্কু আদক বলেন, “একই বিছানায় দু’তিনজন শিশুকে নিয়ে থাকতে হয়েছে। তাঁর উপর প্রচণ্ড গরমে বাচ্চাদের ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।”
হাসপাতালের সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো নন্দকুমারের উত্তম সামন্ত, চণ্ডীপুরের মৃগাঙ্ক দাসের অভিযোগ, “হাসপাতালের শিশুবিভাগে অসুস্থ শিশুদের ভর্তি করার পাশাপাশি সদ্যোজাত-সহ মায়েদের রাখা হয়েছে। শয্যা সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি শিশু-সহ মাকে রাখায় সকলেরই অসুবিধা হচ্ছে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
চিকিৎসায় ‘গাফিলতি’
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শনিবার তা নিয়ে পরিবারের লোকেরা সরব হন। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ ভর্তি করানো হয়েছিল কোচবিহারের বাসিন্দা ওই রোগী সত্যরঞ্জন দাসকে। তাঁর কুঁচকিতে টিউমারের মতো হয়েছে। পরিবারের লোকদের অভিযোগ, টিউমারের মতো ওই অংশটি বড় হয়েছে, অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে ওই দিন রাতেই রোগীকে অজ্ঞান না করে তা কেটে দেওয়া হয়। এর পর থেকেই যন্ত্রণায় ছটপট করছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এ দিন সকালে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তা নিয়ে রোগীর লোকেরা সরব হন। তাঁরা রোগীকে নিয়ে যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তা নিয়ে হইচই দেখে একজন সিনিয়র চিকিৎসক গিয়ে বিস্তারিত শোনার পর তিনিও জানান রোগীকে এখনই ছুটি দেওয়া ঠিক হবে না। ফের রোগীকে নতুন করে ভর্তি করানো হয়। আগের ছুটির নথি এর পর স্বাস্থ্য কর্মীরা চেয়ে নেন। পরে তা চাইতে গেলে জানানো হয় তা হারিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের সুপার অমরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “ক্যান্সারের কারণেই টিউমারের মতো ওই অংশগুলি বড় হচ্ছে। তা কেটে বায়োপসি করা হয়। চিকিৎসক বুঝিয়ে না বলাতেই মনে হচ্ছে সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy