Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল

পর্যাপ্ত ডাক্তারের অভাব, পরিষেবা বেহাল

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ছিলেন চার জন চিকিত্‌সক। এক জন চিকিত্‌সক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যোগ দিয়েছেন। অপর একজন কোমরে ব্যাথার জেরে ছুটি নিয়েছেন সপ্তাহখানেক ধরে। দু’জন চিকিত্‌সককে চালাতে হচ্ছে ওই বিভাগের সমস্ত কাজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৬
Share: Save:

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ছিলেন চার জন চিকিত্‌সক। এক জন চিকিত্‌সক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যোগ দিয়েছেন। অপর একজন কোমরে ব্যাথার জেরে ছুটি নিয়েছেন সপ্তাহখানেক ধরে। দু’জন চিকিত্‌সককে চালাতে হচ্ছে ওই বিভাগের সমস্ত কাজ। তার মধ্যে ছয় দিন বহির্বিভাগ থেকে অন্তর্বিভাগের রোগী দেখা এবং ২৪ ঘণ্টা অন কলে থাকা। তার উপর ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে মেডিসিন বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ।

চোখ-কান-গলা বিভাগে তিন জন চিকিত্‌সক ছিলেন। ছ’দিনই বহির্বিভাগ খোলা থাকত। সম্প্রতি তাদের এক চিকিত্‌সক উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। বাকি দু’জনের এক জন চিকিত্‌সক লম্বা ছুটিতে রয়েছেন। এই মাসেও তিনি আসবেন না। তাতে বহিবির্ভাগ ৬ দিনের পরিবর্তে দু’টি খোলা থাকছে। রয়েছেন একজন মাত্র চিকিত্‌সক। তাঁকেই সব করতে হচ্ছে।

অ্যানাস্থেসিস্ট তিন জন ছিলেন। গত জুন মাসে তাঁদের একজনকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ায় তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার চিঠি দিয়ে আসছেন না। দু’জনকে সামলাতে হচ্ছে। তার মধ্যে এক জন ছুটিতে থাকলে বা অসুস্থ হলে বা জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকলে একজন অ্যানাস্থেসিস্ট পরিস্থিতি সামলাতে পারেন না। তখন জরুরি ছাড়া অন্য কোনও অস্ত্রোপচার বন্ধ থাকে।

একেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। তার উপর চিকিত্‌সকের অভাবে পরিষেবা যথাযথ মিলছে না বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের রোগী ক্যলাণ সমিতি এবং পরিচালন কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক সেরে রোগী ক্যলাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “মেডিসিন বিভাগে আরও দু’জন চিকিত্‌সক আসছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শীঘ্রই যাতে আসেন সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলব। অ্যানাস্থেসিস্ট -ও এক জন আসছেন।” এ দিন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে পাঁচতলা একটি ভবন তৈরি হবে। বেসমেন্ট এবং অপর একটি তলা পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার হবে। হাসপাতালে পিপিপি মডেলে চালু সিটি স্ক্যান কেন্দ্রে দুস্থ পরিবারের বাসিন্দাদের প্রতি তিন মাসে নিখরচায় ২ লক্ষ টাকার সিসিস্ক্যান করেদিতে হবে। ৫০০ টাকায় ওই কেন্দ্রে সিটিস্ক্যান করানো সুযোগ পাচ্ছেন বাসিন্দারা। শীঘ্রই ডায়ালিসিস এবং ডিজিটাল এক্সরে চালু করার আশ্বাস দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। খড়িবাড়ি এবং নকশালবাড়ি হাসপাতালে এক জন করে অ্যানাস্থেসিস্ট নিয়োগ করা হবে। প্রতিতিন মাস অন্তত হাসপাতালের কাজকর্মে নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হবে বলে এ দিন মন্ত্রী জানিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy