সহারনপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপির এক সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলল উত্তরপ্রদেশ সরকারের তৈরি করা কমিটি।
পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের কাছে। আর তাতে পরিষ্কারই বলা হয়েছে, গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রত্যক্ষ ভাবে উস্কানি দিয়েছিলেন সহারনপুরের বিজেপি সাংসদ রাঘব লখনপাল। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের ঢিলেঢালা মনোভাবকেও।
গত ২৬ জুলাই উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরের কুতুবশের এলাকায় একটি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। তাতে নিহত হন তিন জন। ওই ঘটনার পরে সারা শহর জুড়ে গোলামাল ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট এবং গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক দিনের জন্য শহরে কার্ফু জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এই ঘটনার পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অখিলেশ সরকার। সেই কমিটিই এত দিনে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সরকারের কাছে। সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নরেশ অগ্রবালের কথায়, “রিপোর্টে যে হেতু লখনপালের নাম সামনে এসেছে, তা দেখে এটাই বলতে হয় যে সংঘর্ষ ছড়ানোর ঘটনায় গোটা বিজেপি দলেরই যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।” তাঁর আরও বক্তব্য, প্রশাসনিক কিছু অফিসারের গাফিলতিও একই ভাবে দায়ী। এই সব অফিসারের বিরুদ্ধে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন অগ্রবাল।
এ ভাবে সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল ওঠায় বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ ভাবে তাদের দলের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের শাসক দল।
যে সাংসদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে সেই লখনপাল বলছেন, “পুরো রিপোর্টটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংঘর্ষ থামাতে আমিই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ না এনে উল্টে সরকারের তো আমায় ধন্যবাদ জানানো উচিত।”
পুরো রিপোর্টটি উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তাঁর বক্তব্য, রিপোর্টটি যে হেতু তিনি চোখে দেখেননি, তাই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতীও। তিনি গোটা রিপোর্টের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “রিপোর্টে আসল সত্যিটা সামনেই আসেনি। আসলে সপা আর বিজেপি, দু’দলই সংঘর্ষে উস্কানি দিয়েছে। আমরা এই রিপোর্ট মানি না।” কংগ্রেসও এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীকে এ বার প্রমাণ করতে হবে যে সাম্প্রদায়িক হিংসা তিনি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy