কেস ডায়েরি উধাও হয়ে যাওয়ায় আরও পিছিয়ে গেল সলমন খানের বিচার। বেশ কয়েক জন সাক্ষীর জবানবন্দির মূল নথিও হারিয়ে গিয়েছে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশকে হারানো নথি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন দায়রা বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপাণ্ডে।
২০০২ সালে সলমনের গাড়ির ধাক্কায় বান্দ্রা এলাকায় এক জনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ৪ জন আহতও হন। তার পর নানা কারণে ১২ বছর ধরে কেবলই দীর্ঘায়িত হয়েছে মামলার বিচার। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সলমনের বিরুদ্ধে অবহেলার ফলে মৃত্যুর বদলে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। এই নয়া অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সলমনের ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়েরের পরে নতুন ভাবে বিচার শুরুর আর্জি জানান সলমনের কৌঁসুলিরা। সে আর্জি মেনে নিয়েছে আদালত। ফলে পুরো প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। গত শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, সাক্ষীদের ৬৩টি জবানবন্দির মূল নথির মধ্যে মাত্র ৭টি এখন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তবে সব জবানবন্দিরই প্রতিলিপি আছে।
আজ আবার সরকারপক্ষ জানায়, ওই মামলার কেস ডায়েরিও হারিয়ে গিয়েছে। সলমনের কৌঁসুলি শ্রীকান্ত শিভাড়ে তাতে বলেন, “গুরুতর অপরাধের বিচার হচ্ছে। মূল নথি ছাড়া আইনত কখনও বিচার হতে পারে না।” সরকারি কৌঁসুলি পাল্টা সওয়াল করে জানান, মুম্বইয়ের আদালতে প্রতিলিপির ভিত্তিতে বিচার হওয়ার নজির আছে।
দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পরে বিচারক ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উধাও হয়ে যাওয়া নথি খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এই মামলার প্রাক্তন তদন্তকারী অফিসার কিষণ শেঙ্গল অবসর নিয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর তাঁকেও হাজির হয়ে নথি উধাও হওয়া নিয়ে হলফনামা দিতে বলেছে কোর্ট।
উধাও নথি ঠিক কোথায় আছে তা নিয়ে ধন্দে মুম্বই পুলিশের বড় কর্তারাও। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০২ সালে বিচার শুরু হওয়ার পরে ওই নথি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জমা ছিল। দায়রা আদালতে মামলা যাওয়ার সময়েই অনেক নথি উধাও হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy